ভয়াবহ বন্যা, বৃষ্টির জমে থাকা পানি, পয়ঃনিষ্কাশন পাইপ উপচে পুতিগন্ধময় পানি ছড়িয়ে পড়া, এসব নিউইয়র্ক সিটিতে এখন প্রায়শঃই ঘটছে।
একটু ভারী বৃষ্টি হলেই নগরবাসীকে এসবে দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাতে হচ্ছে। আর জলবায়ূ পরিবর্তনের জেরে এমন ঘটনা এখন কয়েকদিন পরপরই ঘটছে, বলছিলেন নিউইয়র্কের অ্যাসেম্বলি মেম্বার এমিলি গ্যালাগার।
ওয়াটার বিল ফেয়ারনেস অ্যাক্ট নামে একটি নতুন বিল উত্থাপন করেছেন তিনি। এতে বলা হয়েছে নিউইয়র্ক সিটি ডেভেলপার ও ব্যক্তিমালিকানাধীন ভবন মালিকদের কাছ থেকে স্ট্রমওয়াটার ফি আদায় করতে পারবে।
যেসব অবকাঠামোর কারণে এমন পানি জমে বন্যা সৃষ্টি হয় সেসব ভবনের নির্মাতা ও মালিকদেরই এর দায় বহন করতে হবে।
গ্যালাগার বলেন, নগরীর পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য আমরা সকলেই অর্থ পরিশোধ করছি। আর আমাদের দেওয়া অর্থে যে রেভিনিউ আসছে তা স্রেফ বন্যার পানিতে ধুয়ে যেতে পারে না।
নিউটাউন ক্রিক অ্যালায়েন্স নামের একটি গ্রুপের সদস্যরা নগরের বর্তমান গ্রিন অবকাঠামোগুলো রক্ষণাবেক্ষণে সর্বোত চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ব্রুকলিন ও কুইনসে তারা গ্রিন রুফ, পলিনেটর ও রেইন গার্ডেনে জোর দিচ্ছেন। এসবে ৩০০০ গ্যালন পানি ধারণ করা সম্ভব।
এগুলোর একটি ব্যবস্থা আপাতদৃষ্টিতে সামান্য মনে হলেও যখন সিটির হাজার হাজার বাড়ি কিংবা অবকাঠামো এই ব্যবস্থা নেবে তখন তার একটা অর্থবহ প্রভাব অবশ্যই থাকবে, বলছিলেন নিউটাই ক্রিক অ্যালায়েন্সের নির্বাহী পরিচালক উইলস এলকিনস।
এ সংক্রান্ত অ্যাডভোকেটরা বলছেন, সিটির অতি পুরাতন পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার বিপরীতে এই গ্রিন ইনফ্রাস্ট্রাকচার খুবই সুন্দর একটি ব্যবস্থা। ১৮০০ শতাব্দীর শেষভাগে তৈরি করা হয় নিউইয়র্কের এই পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা।
এক কোয়ার্টার ইঞ্চির বেশি বৃষ্টিপাত হলেই আমাদের ওয়েস্ট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টগুলো আর তা সামাল দিতে পারে না, তখন রাস্তায় পানি জমে থাকে। ড্রেনের ময়লা বর্জ্য তাতে ভাসতে থাকে, লছিলেন হর্টিকালচারিস্ট ব্রেন্ডা সুকিল্ট।
এলকিনস বলেন, এহেনো পরিস্থিতিতে আমাদের স্টেট ও ফেডারেল সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা প্রয়োজন।
ওয়াটার বিল ফেয়ারনেস অ্যাক্টটিকে কার্যকর করতে সিটি হলের সবুজ সংকেত লাগবে। তারপরেই সেটি স্টেট লেজিসলেচারে পাঠানো হবে। আগামী জানুয়ারিতে আলবেনিতে বসছে স্টেট লেজিসলেচারের পরবর্তী অধিবেশন।