নিউইয়র্কের কুইন্সে রোববার সকালে এক পরিবারের চার সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক ব্যক্তি। পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে হামলাকারী। ভোর ৫টার দিকে এই হামলা সংক্রান্ত কল পেয়ে পুলিশ বিচ ২২ স্ট্রিট ফার রকওয়ের একটি বাড়িতে ছুটে যায়। সেখানে তখনো হামলাকারী সেখানে ছুরি হাতে অবস্থান করছিলেন।
পুলিশ জানায়, ফোন কল করেছিলেন যিনি তিনি জানিয়েছিলেন তার কাজিন তাদের পরিবারের ওপর হামলা চালিয়েছে।
এনওয়াইপিডির কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান এক ব্যক্তি একটি লাগেজ ড্রাইভওয়ে দিয়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। পুলিশ তাকে প্রশ্ন করতে শুরু করলে সেই ব্যক্তি একটি ছুরি বের করে দুই পুলিশ অফিসারকে জখম করেন। এদের মধ্যে একজনের ঘাড়ে ও একজনের মাথায় জখম হয়।
তখন একজন অফিসার তাকে গুলি করে। পরে কাছের একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
অন্য যে পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছিলেন তারা বাড়ির সামনে দেখতে পান একটি শিশু মেঝেতে পড়ে আছে। ১১ বছরের মেয় শিশুটিকে কোহেন চিলড্রেন মেডিক্যাল সেন্টারে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এনওয়াইটিডির গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান জোশেফ কেনি ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, এনওয়াইপিডির কর্মকর্তারা তখনই বাড়ির ভেতরে ঢুকতে পারেননি, কারণ সেটির ভেতরে আগুন জ্বলছিলো। পুলিশ মনে করছে সন্দেহভাজন ব্যক্তিটি বাড়ির ভিতরে বিছানায় আগুন ধরিয়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে যাচ্ছিলেন।
এনওয়াই ফায়ার ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর তারা বাড়ির ভেতর থেকে আরও তিনটি মরদেহ উদ্ধার করে। এদের একটি ১২ বছরের বালক, একজন ৪৪ বছরের নারী ও ৩০ বছরের এক ব্যক্তির লাশ, জানান কেনি।
৬১ বছর বয়সী এক বৃদ্ধাকে গুরুতর জখম অবস্থা উদ্ধার করে কাছাকাছি হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ মনে করছে, ঘটনাটি পারিবারিক দ্বন্দের জেরে ঘটেছে। এবং হতাহতরা একই পরিবারের সদস্য। তবে তাদের নাম তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।
হামলাকারী ৩৮ বছর বয়সী। এবং এর আগেও ব্রঙ্কসে গৃহ সহিংসতার জন্য তাকে একবার গ্রেফতার করা হয়ছিলো। পুলিশ ধারণা করছে, ওই ব্যক্তি ব্রঙ্কসে বাস করতেন এবং কুইন্সে পরিবারের সদস্যদের কাছে গিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
যে কিচেন স্টেক নাইফটি পুলিশের ওপর হামলায় ব্যবহার করা হয়েছিলো সেটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে একই ছুরি দিয়ে অন্যদের হত্যা করা হয়েছে কিনা তা পুলিশ নিশ্চিত হয়নি।
আহত দুই পুলিশ সদস্যকের জ্যামাইকা মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়েছে। তারা শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছে এনওয়াইপিডি।