যুক্তরাষ্ট্রের ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়নোর ঘোষণা দিয়েছেন নিউ জার্সির সাবেক গভর্নর ও রিপাবলিকান নেতা ক্রিস ক্রিস্টি। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত তিনি। ১১ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সিনহুয়া নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার বিকেলে নিউ হ্যাম্পশায়ারে একটি ইভেন্টে ১০০টিরও কম ভোটার গ্রুপের উপস্থিতিতে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার দৌড় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাড়াঁনোর ঘোষণা দেন ক্রিস্টি। তবে নিজে সরে গেলেও ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পুনরায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে দেবেন না বলে অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
ক্রিস্টি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে যাচ্ছি যে, আমি কোনোভাবেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আর কখনোই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে দেব না। এটি আমার নিজের ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
সাম্প্রতিক জনমত জরিপে দেখা গেছে, নির্বাচনী দৌড়ে বেশ পিছিয়ে রয়েছেন রিপাবলিকান নেতা ক্রিস ক্রিস্টি। এমন পরিস্থিতিতে রিপাবলিকান পার্টির ট্রাম্পবিরোধীদের চাপে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি। রিপাবলিকান পার্টি থেকে ট্রাম্পের বিপক্ষে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী দাঁড় করাতেই এই পদক্ষেপ।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ক্রিস্টি সরে যাওয়ায় দক্ষিণ ক্যারোলিনার সাবেক গভর্নর নিকি হ্যালি উপকৃত হতে পারেন, কারণ তিনি নিউ হ্যাম্পশায়ারের বেশ কয়েকটি ভোটে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান অর্জন করেছেন। ইউএসএ টুডে/বোস্টন গ্লোব/সাফোক ইউনিভার্সিটির সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, ক্রিস্টির সমর্থকদের একটি অংশ বলেছে যে, তারা হ্যালিকে সমর্থন করবে।
জরিপে দেখা দেখেছে, রিপাবলিকান পার্টি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদের প্রার্থী প্রতিযোগিতায় ক্রিস্টি না থাকলে ট্রাম্প ৪৬ শতাংশ থেকে ৩২ শতাংশের ব্যবধানে হ্যালিকে নেতৃত্ব দেবেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুষারে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান মনোনয়ন দৌড়কে দুই-প্রার্থীর প্রতিযোগিতায় রূপান্তরিত করতে পারে। হ্যালি, যাকে পার্টির সবচেয়ে মধ্যপন্থী প্রার্থী হিসেবে দেখা হয় এবং ট্রাম্প, যিনি মনোনয়ন প্রত্যাশীদের প্রতিযোগিতার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন।