লস এঞ্জেলেস ও পেনসিলভেনিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বাংলাদেশি নিহত

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪০

ক্যালফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলেসে মহারাজ কৌশিক (২০) নামের এক বাংলাদেশি ছাত্র সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। অপর দিকে পেনসিলভেনিয়ার ডেলোয়ারে সড়ক দুর্ঘটনায় এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তার নাম ফিরোজ আলম জাহাঙ্গীর (৫৫)। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ই লাইহি রাজিউন।
কৌশিকের দেশের বাড়ি কুমিল্লার বড়ুরা উপজেলায়। তিনি ইন্টারন্যাশনাল আমেরিকান ইনিভার্সিটি, ক্যালিফোনির্য়ার শিক্ষার্থী ছিলেন। জাহাঙ্গীরের দেশের বাড়ি নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চরপার্বতীতে। খবর ইউএনএ’র।
মহারাজ কৌশিক স্টুডেন্ট ভিসায় ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্র আসেন এবং ইন্টারন্যাশনাল আমেরিকান ইনিভার্সিটি, ক্যালিফোনির্য়ায় ভর্তি হন। লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি একটি সিকিউরিটি কোম্পানিতে কাজ করতেন। গত ১০ জানুয়ারি বুধবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তিনি স্থানীয় মেডিসন এভিনিউ ও ভেভালি বুলেভার্ট ক্রস স্ট্রিটে দূর্ঘনার শিকার হন। এতে তার মাথায় মারাত্বক আঘাত লাগে। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে লস এঞ্জেলেসের ল্যাক ইউএসসি কাউন্টি হাসপাতালে ভর্তি করেন। এই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ভোর রাত ৩টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এদিকে, বুধবার রাতে মহারাজ কৌশিক কাজ থেকে বাসায় না ফেরায় তার রুমমেট খোঁজখবর করে তার কোন সন্ধান না পেয়ে পুলিশের শরণাপন্ন হন এবং পুলিশ স্টেশনে রিপোর্ট করলে তার সন্ধান পান।
হলিউড মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট আব্দুল মান্নান জানান, কাজ থেকে স্কুটার চালিয়ে বাসায় ফোরার পথে কৌশিক দূঘটনার শিকার হন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে মহারাজ কৌশিকের মা-বাবা ও এক বোন রয়েছেন। তারা ঢাকায় বসবাস করেন। ঢাকায় পরিবারের সাথে যোগাযোগ হয়েছে এবং তারা কৌশিকের মরদেহ ঢাকায় পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন। এজন্য কমিউনিটির পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে তার মরদেহ হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়েছে।
ওদিকে শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে পেনসিলভেনিয়া রাজ্যের ডেলাওয়ার কাউন্টির ক্রাম লিনে ও-৪৭৬ সাউথ থেকে ইন্টারস্টেট ও-৯৫ নর্থেও র‌্যাম্প এর মুখে এক সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি মোটরসাইকেল চালক ফিরোজ আলম জাহাঙ্গীর নিহত হন। রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনারদিন সকাল ১০টার দিকে একটি টয়োটা ক্যামরির চালক জাহাঙ্গীরের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা মারে। ফিরোজ আলম জাহাঙ্গীর মাত্র বছর দেড়েক পূর্বে আমেরিকায় এসে আস্যালাইম কেসের মাধ্যমে ওর্য়াক পারমিট পাওয়ার পর উবার ইটসে কাজ করছিলেন।
ফিরোজ আলম জাহাঙ্গীর আপারডাবিতে বসবাস করতেন। দেশে তার স্ত্রী, দুই মেয়ে, এক ছেলে রয়েছেন। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার মরদেহ পুলিশ হেফাজতে মর্গে রয়েছে। দেশে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তাদের ইচ্ছে মোতাবেক মরহুমের লাশ দেশে পাঠানো হবে নাকি এখানেই দফন করা হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।