সামরিক শক্তির শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৫

সামরিক শক্তির বিচারে চলতি বছর কোন দেশ কী অবস্থানে আছে তা নিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার। আবারও এই তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের নাম। দেশে দেশে সামরিক শক্তির সক্ষমতা নিয়ে ২০০৬ সাল থেকে প্রতি বছরই প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে এই প্রতিষ্ঠানটি।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার এর চলতি বছরের প্রতিবেদন বলছে, অতীত বছরগুলোর মতো এ বছরও সামরিক শক্তিতে শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র। তার পরেই দ্বিতীয় স্থানটিতে আছে রাশিয়া। আর চীন রয়েছে তৃতীয় স্থানে এবং ভারত চতুর্থ। এভাবে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে থাকা বাকি দেশগুলো হলো দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, জাপান, তুরস্ক, পাকিস্তান ও ইতালি। তালিকাটির ৩৭ নম্বরে অবস্থান করছে বাংলাদেশ।
২০২৪ সালে মোট ১৪৫টি দেশের মধ্যে সামরিক সক্ষমতার বিচার করেছে গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার। এটি করা হয় মূলত দেশগুলোর সৈন্য সংখ্যা, সামরিক সরঞ্জাম, আর্থিক স্থিতিশীলতা, ভৌগোলিক অবস্থান এবং অর্জিত সম্পদ সহ অন্তত ৬০টি দিক বিবেচনা করে। এই বৈশিষ্ট্যগুলো যৌথভাবে শক্তির সূচকে স্কোর নির্ধারণ করে। এই সূচকে যে দেশের স্কোর যত কম হয়, তার শক্তিমত্তা তত বেশি হয়। শক্তি সূচকে (পাওয়ার ইনডেক্স) ৩৭ নম্বরে থাকা বাংলাদেশের পয়েন্ট হলো ০.৫৪১৯। এ ক্ষেত্রে শীর্ষ অবস্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের পয়েন্ট হলো ০.০৬৯৯। শক্তিসূচকে ০.০০০০ হলেই কেবল কোনো দেশকে নিখুঁত সামরিক শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তালিকাটিতে সবার নিচে অর্থাৎ ১৪৫ তম অবস্থানে রয়েছে ভুটান।
চলতি বছরের তালিকা প্রকাশ করে গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার বলেছে, ‘আমাদের অনন্য অভ্যন্তরীণ সূত্রটি ছোট, প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত দেশগুলোকে বড় ও স্বল্প-উন্নত শক্তিগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার সুযোগ দেয়।’
এই বহুমুখী পদ্ধতির লক্ষ্য হলো, গোলাবারুদের বাইরে সামরিক সক্ষমতার আরও সম্পূর্ণ একটি চিত্র তৈরি করা। অর্থনৈতিক শক্তি, যোগাযোগ দক্ষতা এবং এমনকি ভূগোলের ওপর ভিত্তি করে গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার বিশ্বব্যাপী সামরিক অবস্থানগুলোকে আরও সূক্ষ্মভাবে বোঝার আশা করে।
সামরিক সক্ষমতা যাচাইয়ের বিষয়টি অনেক জটিল এবং বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। তবে ফায়ারপাওয়ারের প্রকাশিত তালিকাটি বৈশ্বিক সামরিক শক্তির একটি প্রাথমিক ধারণা দিতে সক্ষম।