যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

ট্রাম্প-নিকির বাক-বিতণ্ডার আক্রমণ

ডেস্ক রিপোর্ট
  ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৭

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য রিপাবলিকান পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘বুড়ো’ ও মানসিকভাবে ‘অনুপযুক্ত’ বলে আক্রমণ করেছেন নিকি হ্যালি।
অন্যদিকে, নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে অন্যতম দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বী নিকির অভিবাসী বংশ পরিচয় নিয়ে রীতিমতো ব্যঙ্গ করেছেন ট্রাম্প।
রয়টার্স জানিয়েছে ট্রাম্প বলেছেন, ‘নিকির প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্যতাই নেই।’
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের মধ্যে শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কে হবেন, সেই লড়াই রীতিমতো বাক-বিতণ্ডায় পরিণত হয়েছে। তবে সে বিতণ্ডায় এখন রয়ে গেছেন স্রেফ দুই জন। অপর প্রার্থী রন ডি স্যান্টিস রণেভঙ্গ দিলে থেকে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নিকি হ্যালি।
সম্প্রতি আইওয়া প্রদেশের রিপাবলিকান পার্টির প্রাথমিক নির্বাচন বা ককাসে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপুল ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। নিউ হ্যাম্পশায়ারে পরবর্তী রিপাবলিকান প্রাইমারি ২৩ জানুয়ারি। নিকি-ট্রাম্পের সুবাদে তার আগেই নির্বাচনী প্রচার জমে উঠেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাথমিক পর্বে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান, এই দুটি দলের অভ্যন্তরে নির্বাচন হয়। ভোটাভুটির মাধ্যমে দেখা হয়, কোন প্রার্থী দলের ভোটারদের বেশি পছন্দের। শেষ পর্যন্ত সেই প্রার্থীকেই দল প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী করে।
রিপাবলিকান দলের এখন তিন প্রধান প্রার্থী- ট্রাম্প, ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস এবং জাতিসংঘে দেশটির সাবেক দূত নিকি হ্যালি। আইওয়া ককাসে ৫১ শতাংশ ভোট পেয়ে বাকি দুজনকে অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ডিস্যান্টিস পান ২১.২ শতাংশ ভোট আর হ্যালি ১৯.১ শতাংশ।
পরবর্তী নিউ হ্যাম্পশায়ারের নির্বাচনের গুরুত্ব যথেষ্ট। সিএনএনের সমীক্ষা অনুযায়ী, ট্রাম্পের থেকে আইওয়ায় মাত্র সাত পয়েন্টে পিছিয়ে রয়েছেন নিকি।
আবার অনেকে বলছেন, নিউ হ্যাম্পশায়ারের রিপাবলিকানরা মধ্যপন্থী, স্বাধীন চিন্তাধারার এবং অনেক বেশি শিক্ষিত। তাই ট্রাম্প-ঝড় সেখানে না-ও দেখা যেতে পারে।
নিউ হ্যাম্পশায়ারে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হলের হামলার ঘটনার দায় নিকি ও তৎকালীন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির উপরে চাপিয়েছেন ট্রাম্প।
ওই প্রসঙ্গে নিকি বলেছেন, ‘সেদিন ক্যাপিটলে নিরাপত্তা পরিস্থিতি সামলাতে আমি ব্যর্থ হয়েছি বলে বার বার আক্রমণ করছেন ট্রাম্প। কিন্তু, ঘটনার দিন আমি ওয়াশিংটনেই ছিলাম না। দপ্তর থেকে অনেক দূরে ছিলাম।’
এর পাশাপাশি ট্রুথ সোশালে নিকির ভারতীয় বংশপরিচয় এবং অভিবাসী যোগ নিয়ে ব্যঙ্গ করেন ট্রাম্প। তার নামের ভুল উচ্চারণ করেন।
প্রসঙ্গত, নিকির পুরো নাম নিমরতা নিকি রণধাওয়া হ্যালি। মাইকেল হ্যালিকে বিয়ের পরে তিনি নিকি হ্যালি নামটুকুই ব্যবহার করেন। ট্রাম্প তার প্রথম নাম নিমরতাকে বার বার ভুল বানানে উচ্চারণ করেছেন। অনেকের মতে, এই ভুল ট্রাম্পের ইচ্ছাকৃত।
এতদিন ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকে বিরত থাকলেও ট্রাম্পের খোঁচার পর মুখের খুলেছেন নিকি। ট্রাম্পকে সরাসরি ‘বুড়ো’ ও প্রেসিডেন্ট হওয়ার মতো মানসিক ‘স্থিতিহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন।
নিকি আরও বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মতো স্বৈরাচারীরা ট্রাম্পের বিশেষ পছন্দের মানুষ। বার বার ওদের ভূয়সী প্রশংসা করে ট্রাম্প তার পছন্দ-অপছন্দ মানুষের সামনে স্পষ্ট করে দিয়েছেন।