বিশাল এক টয়লেটেই যেনো পরিণত হয়েছে নিউইয়র্ক সিটির নেইবারহুড! এখানে ওখানে পায়খানা-প্রস্রাব। পার্কে-সড়কের আড়ালে, আবডালে যত্রতত্র এখন দেখা যায় এগুলো। আর কাগজের কাপ প্রস্রাব করে তা ফেলে রেখে যাচ্ছে হয় ঘরের সিড়িতে নয়তো সীমান্ত দেয়ালের উপরে। নিউইয়র্কের ইস্ট ভিলেজের নেইবারহুডে অবস্থা এখন ঠিক এরকমই। কারা করছে এসব? নিউইয়র্ক ছেয়ে গেছে নব্য অভিবাসন প্রত্যাশি আশ্রয় প্রার্থীতে। তারাই করছে এসব।
গত নভেম্বর থাকে হাজার হাজার মাইগ্র্যান্টস নিউইয়র্কের এসে ভিড় করায় তাদের একটা বড় অংশের স্থান হয়েছে ইস্ট সেভেন্থ স্ট্রিটে সাবেক সেন্ট ব্রিজিড'স স্কুল ভবনটিতে। টমকিন স্কয়ার পার্কেও রয়েছে উপচে পড়া অভিবাসন প্রত্যাশীদের ভীর। নগরীর আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে তাদের ৩০ দিন ও ৬০ দিন অবস্থানের সময়সীমা পার করে কোথাও না কোথাও বিছানা পেতে থাকছে এই মানুষগুলো।
কিন্তু তারা পায়খানা প্রস্রাবের জন্য বেছে নিচ্ছে সাইডওয়াক ও স্ট্রিটগুলো। সিটির পার্ক ডিপার্টমেন্ট তাদের পার্ক বাঁচাতে হিমশিম খাচ্ছে।
স্থানগুলো এতটাই নোংরা ও পুঁতিগন্ধময় হয়ে উঠেছে যে কর্মীরা পার্ক রক্ষণাবেক্ষণের কাজ ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে।
জন ক্যাশভান নামে একজন স্ট্রিট ক্লিনার বলছিলেন, "দেখলাম একটি কাপ পড়ে আছে। ভাবলাম কেউ বোধ হয় হটচকলেট খেতে গিয়ে ফেলে রেখেছে। কিন্তু কাছে গিয়ে বুঝতে পারি ওটা হট চকলেট নয়!"
গেলো সপ্তাহে স্থানীয়রা ও স্বেচ্ছাসেবীরা জানান, তারা সাবেক স্কুলটির প্রবেশ পথে কাপে ভরা প্রস্রাব ফেলে রাখা দেখতে পেয়েছেন। গাছের তলায়, পার্ক করা দুটি গাড়ির মাঝখানে দেখা গেছে পায়খানা করেছে কেউ।
"অনেকেই মাটিতে না করে কোনো প্লাস্টিক কাপে প্রস্রাব করছে আর সেগুলো রেখে যাচ্ছে কোনো বাড়ির দরজার সিঁড়িতে। গ্যারেট রোসো নামের একজন জানালেন, প্রস্রাব ভরা এমন অন্তত এক ডজন কাপ তিনি নিজেই দেখেছেন।
পার্কের উত্তর-পূর্ব অংশটি এমন পায়খানা-প্রসাবের কাপ, খাবারের অবশিষ্টাংশ আর নানা আবর্জনায় ভরা। মাইকেল ব্র্যাটলি, ৭৩ বলছিলেন তিনি এখন আর পার্কের ওইদিকটাতে হাঁটতে যান না। কয়েক হাজার মানুষ তাদের বাথরুম সাড়ার জন্য পার্কের এই দিকটাই বেছে নিচ্ছে।
একজনতো মেয়র এরিক অ্যাডামসকে এক হাত নিলেন এই বলে যে, তিনিই হাত বাড়িয়ে এই মাইগ্র্যান্টদের এখানে ডেকে এনেছেন। আর তাদের এসব নেইবারহুডে ঠেলে দিয়েছেন কোনো পরিকল্পনা কিংবা কোনো নির্দেশনা ছাড়া। তাও একজন দুজন নয়, শত শত- এমনকি হাজার হাজার মানুষ।
পার্কে পোর্ট অ্যা পটিজ বসানো হয়েছিলো কিন্তু সেগুলোকেও এতটা নোংরা করে ফেলা হয়েছে যে পার্ক ওয়ার্কাররা সেগুলো তুলে নিয়ে গেছে।
এখানে বাথরুমটাই এখন বড় বিষয়। আমরা এ বিষয়ে প্রশাসনের সহায়তা চেয়েছি, বলছিলেন কমিউনিটি বোর্ডের ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার সুজান স্টেটজার।