গেলো মাসে মাইক ওয়েবার নাম এক মুরগী খামারির খামারে মুরগীর শরীরে এভিয়ান ফ্লুর অস্তিত্ব মেলার পর খামারের ৫ লাখ ৫০ হাজার ডিম দেওয়া মুরগী নিধন করা হয়। ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান ফ্রান্সিসকোর সোনোমা কাউন্টিতে এই খামারটিকে ফ্লু'র সংক্রমন থেকে বাঁচাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু তাতে শেষ রক্ষা হয়নি। গোটা ক্যালিফোর্নিয়ায় এভিয়ান ফ্লু এখন এক আতঙ্কের নাম। যদিও এর আগের এভিয়ান ফ্লু সংক্রমনে গোটা মধ্য পশ্চিমা স্টেটগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ক্যালিফোর্নিয়া ছিলো ব্যতিক্রম। এবার সেখান থেকেই শুরু হলো এই রোগের বিস্তার।
গত দুই মাসে কয়েক ডজন ফার্ম থেকে ১ মিলিয়নের বেশি মুরগী নিধন করা হয়েছে এই সংক্রমন প্রতিরোধে। যা মুরগি খামারি, খামারের কর্ম ও সাধারণ ক্রেতার ওপর চাপ বাড়াচ্ছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার পোল্ট্রি ফার্মগুলোয় এই রোগের বিস্তার ঠেকাতে বায়োসিকিউরিটি নেওয়া হচ্ছে।
ইন্ডাস্ট্রির কর্মকর্তারা এখন আশঙ্কা করছেন, ব্যাকইয়ার্ড চিকেনের মধ্যে এই রোগ যত বেশি ছড়াবে তত বেশি তা কমার্সিয়াল ফার্মেও ছড়িয়ে পড়বে।
বিষয়টিকে রীতিমতো ট্রমা হিসেবে উল্লেখ করে ওয়েবার বলেন, এর ফলে আমরা সকলে হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে পড়ছি। তার খালি হয়ে যাওযা মুরগি খামারের সামনে দাঁড়িয়ে ওয়েবার আরও বলেন, তার খামার থেকে বাজারজাত করা পেটালুমা ব্র্যান্ড নেমের ডিমের কদর গোটা বিশ্বেই রয়েছে। এখন এসব ডিমের বাস্কেট তাকে আগুনে পুড়িয়ে দিতে হয়েছে।
এক বছর আগে যখন এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছিলো তখন বাজারে ডিমের দাম বেড়ে যায়। এবার আবার সেই এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা গোটা ক্যালিফোর্নিয়ার ডিমের বাজারে ধস নামিয়েছে।
সোনোমো কাউন্টি জুড়ে সব খামারেও ছড়িয়েছে এই উচ্চ সংক্রামক রোগটি। সেখানে কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে জরুরি অবস্থা ঘোণা করেছে।
এছাড়া মধ্য ক্যালিফোর্নিয়ার মারসিড কাউন্টির কয়েকটি ডিম উৎপাদনকারি খামাের ছড়িয়েছে এই রোগ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথমে হাঁসের মাধ্যমে কিংবা অন্য কোনো মাইগ্রেটরি পাখির মাধ্যমে এই রোগটি ছড়ায়। এর মধ্যে ওয়াটারফাউল নামের একটি পাখি নিজে অসুস্থ না হয়েও ভাইরাসটি ছড়াতে পারে। ব্যাকইয়ার্ডে পালিত মুরগির মাধ্যমে এগুলো মুরগি কিংবা টার্কি ফার্মগুলোতে ঢুকে পড়ে।