
যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েমের একটি মন্তব্য ঘিরে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা ও বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। অনেক জায়গায় দাবি করা হচ্ছে, নোয়েম নাকি বলেছেন—যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সবসময় নাগরিকত্বের প্রমাণ বহন করতে হবে। তবে বাস্তবে এই দাবি পুরোপুরি সঠিক নয়।
আইন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য নাগরিকত্বের প্রমাণ বহন করা বাধ্যতামূলক নয়। মার্কিন আইনে সাধারণভাবে নাগরিকদের প্রতিদিনের চলাফেরার সময় পাসপোর্ট, জন্মসনদ বা নাগরিকত্বের কাগজ সঙ্গে রাখার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এই ধরনের আইনি বাধ্যবাধকতা প্রযোজ্য হয় মূলত নন-সিটিজেন বা অভিবাসীদের ক্ষেত্রে, যাদের নির্দিষ্ট বয়সের পর বৈধ অবস্থানের কাগজপত্র বহন করতে হয়।
ক্রিস্টি নোয়েম মূলত অবৈধ অভিবাসন ইস্যুতে কড়াকড়ি প্রয়োগের কথা উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন যে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো যাদের বৈধ কাগজপত্র নেই, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে তিনি এমন কোনো আইন বা নীতির ঘোষণা দেননি, যেখানে বলা হয়েছে যে সব মার্কিন নাগরিককে নাগরিকত্বের প্রমাণ বহন করতেই হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অভিবাসন অভিযান চলাকালে কখনো কখনো মার্কিন নাগরিকদেরও প্রশ্ন করা হতে পারে বা সাময়িকভাবে পরিচয় যাচাই করা হতে পারে, তবে সেটি আইনগত বাধ্যবাধকতার প্রমাণ নয়। নাগরিকরা চাইলে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার স্বার্থে আইডি বা পাসপোর্ট সঙ্গে রাখতে পারেন, কিন্তু এটি সম্পূর্ণ স্বেচ্ছামূলক।
সুতরাং, “মার্কিন নাগরিকদের নাগরিকত্বের প্রমাণ বহন করতে হবে”—এই বক্তব্যটি আইনগতভাবে সঠিক নয়। বর্তমান যুক্তরাষ্ট্রের আইনে এমন কোনো সাধারণ বাধ্যবাধকতা নেই বলে নিশ্চিত করছেন অভিবাসন ও আইন বিশেষজ্ঞরা।