বিশ্বের অন্য মুদ্রার সামনে ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে ডলার? এই আলাপ বহুদিনের। অনেকেই বিশ্ব মুদ্রা বাজারে ডলারের আধিপত্যের শেষ দেখছেন। তবুও বিশ্ববাজারে এখনো চালকের আসনে ডলার। রিজার্ভ কিংবা আন্তর্জাতিক বিকিকিনি সবই হয় ডলারে।
এবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন ব্যয় প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি। ফলে দেশটির অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছরের মাঝামাঝির পর সুদের হার কমাতে পারে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ প্রত্যাশায় ইউএস ডলারের মান কমেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে গত জানুয়ারিতে উৎপাদন খরচ আগের ৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ছিল। তবে খুচরা বিক্রি গত ১০ মাসে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। এর মানে ভোক্তা ব্যয় হ্রাস পেয়েছে। দেশটির শ্রম অধিদপ্তরের সবশেষ প্রকাশিত উপাত্তে এ চিত্র দেখা গেছে। গত ডিসেম্বর ও নভেম্বরেও ভোক্তা ব্যয় নিম্নমুখী ছিল।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ডলার সূচক নিম্নমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ০২ শতাংশ। বর্তমানে তা ১০৪ দশমিক ২৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। তবে দৈনিক হিসাবে কমলেও সাপ্তাহিক ভিত্তিতে বেড়েছে শূন্য দশমিক ১২ শতাংশ। আগামী দিনেও যা ঊর্ধ্বমুখী ধারায় থাকতে পারে।
এ অবস্থায় আলোচ্য কার্যদিবসে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেয়েছে শূন্য দশমিক ০৩ শতাংশ। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) মূল মুদ্রাটির দাম স্থির হয়েছে ১ দশমিক ০৭৭৪ ডলারে। অন্যান্য মুদ্রা যেমন- ব্রিটিশ পাউন্ড, চীনা ইউয়ানের বিপরীতেও গ্রিনব্যাকের পতন হয়েছে। তবে জাপানি মুদ্রার বিপরীতে গ্রিনব্যাকের উত্থান ঘটেছে শূন্য দশমিক ০২ শতাংশ। প্রতিটির মূল্য নিষ্পত্তি হয়েছে ১৫০ দশমিক ২১ ইয়েনে।