নিউইয়র্কে  নতুন রূপে ফিরছে এনওয়াইপিডি

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৮

বিশ্বটাই পরিবর্তনশীল। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুর পরিবর্তন ঘটে। যা জড় নয়, সেসব অপরিবর্তনশীল, স্থির। নানা কারণে, নানা প্রয়োজনে আমরা রূপান্তর ঘটাই। প্রাকৃতিকভাবে অনেক কিছু বদলে যায়। মানুষের চেহারার বদল ঘটে বয়স বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে। জন্ম থেকে মৃত্যুÑএই সময়ের মধ্যে অনেকবারই মানুষের চেহারার পরিবর্তন ঘটে। কখনো নিজের মধ্য থেকে ঘটে যায় পরিবর্তন। কখনো মানুষ তার প্রয়োজনে অনেক কিছু বদলে ফেলে। তার চারপাশের চেহারাও অনেকেই পাল্টাতে চায় তার রুচিমতো। প্রকৃতি এবং মানুষ সবই পাল্টায়। সবকিছুই কখনো পাল্টাতে হয়। কখনো পাল্টে যায়। না পাল্টালে মানুষ স্থির, অপরিবর্তনীয় জিনিসকে কীভাবে দেখত, সেটা ভেবে দেখার মতো হতো। তবে তা যে ভালো দেখাত না, সেটা বলে দেওয়া যায় নিশ্চিতভাবেই।
প্রকৃতি, নদীর বাঁকের মতো মানুষের মুখের ভাষাও পাল্টে যায়। কোনো কিছু যখন পাল্টাতে শুরু করে, তখন চোখে ধরা না পড়লেও সময়ের প্রভাবে একটা পর্যায়ে গিয়ে ঠিকই চোখে পড়ে পরিবর্তন। এই পরিবর্তন কারও কারও কাছে প্রশংসিত হয়, আবার সমালোচিতও হয়ে যায় কারও কারও কাছে। মানুষের স্থির অপরিবর্তনশীল একটা স্থিতিশীল জিনিস যে খুব বেশি দিন দেখতে ভালো লাগে না, তা বোধ হয় সবাই মানবেন। এসব যে কেবল মানুষের জীবনে ঘটে, তা নয়; প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও ঘটে। অনেকে নিজের প্রতিষ্ঠানেরও মাঝেমধ্যে গেটআপ, মেকআপ পরিবর্তন করা খুব পছন্দ করে। এ বিষয়ে কেউ প্রায়ই পরিবর্তন করে ঘরের সাজসজ্জা, কেউ অনেক দিন পরে হলেও করে।
এই যেমন বিশ্বের অন্যতম পুলিশ ফোর্স এনওয়াইপিডি তার বর্তমান রীতি ছুড়ে ফেলে পুরোনো রীতিতে ফিরতে চলেছে। ‘পরিবর্তন আসছে ইউনিফর্মে, নিষিদ্ধ হচ্ছে দাড়ি’-প্রতিবেদনটির শুরুতেই বলা হচ্ছে, ‘এনওয়াইপিডি তার ঐতিহ্য থেকে অনেকটাই বিচ্যুত হয়ে গিয়েছিল। সম্প্রতি নানা আলোচনা-সমালোচনার পর তারা আবার তাদের ঐতিহ্যবাহী পুরোনো রীতিতে ফিরতে শুরু করেছে। এ নিয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়ে গেছে। তারা আবার নিউইয়র্ক সিটির মসৃণতম হতে চলেছেন। পুলিশ অফিসারদের দাড়ি ও ইউনিফর্মের ক্ষেত্রে এনওয়াইপিডি পুরোনো রীতিতে ফিরে যাচ্ছে।
গত সপ্তাহে ওয়ান পুলিশ প্লাজায় পেট্রল প্রধান জন চেন কম্পস্ট্যাট মিটিং চলাকালে ডিপার্টমেন্ট ব্রাসের সদস্যদের সঙ্গে এ নিয়ে তিনি কথা বলছিলেন। সেখানে মি. চেন বলেছেন, ‘ইউনিফর্মে খুব দ্রুতই পরিবর্তন আসছে। এক সপ্তাহের মধ্যে আর কারও দাড়ি এবং কোনো খোলা কলার থাকবে না। আমরা নিট ক্যাম্পগুলোতে আবহাওয়ার বিধিনিষেধে ফিরে যাচ্ছি। মি. চেন আরও পরিষ্কার করে বলেন, মূলত আমি এই রুমের সবাইকে যা বলছি তা হলো, আমরা পুরোনো রীতিতে ফিরে যাচ্ছি। আমরা কিছু ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে যাচ্ছি, যা গত কয়েক বছরে হারিয়েছি। এনওয়াইপিডি ২০১৬ সালে অফিসার পদে ক্রমবর্ধমান শিখ জনসংখ্যার প্রতি সম্মতি জানিয়ে বলেছিল, কেউ ইচ্ছা করলে পুলিশ ইউনিফর্মে থাকা অবস্থায় দাড়ি রাখতে এবং পাগড়ি পরতে পারবে। তবে নীল হয়ে গেলে আর পাগড়ি পরা যাবে না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায়, ধর্মীয় অনুভূতি ছাড়াও অনেক পুলিশ সদস্য দাড়ি রাখতে শুরু করে। এ নিয়ে ঐতিহ্যপন্থী কিছু শিখ দারুণভাবে ক্ষুব্ধ হবে।
অনেকেই এসব পরিবর্তনে খুশি হন। আবার অনেকেই ক্ষুব্ধ হন। ম্যানহাটন পুলিশের এক সদস্য বলেন, ‘আমরা একটা পুলিশ বিভাগ, হিপহপ বিভাগ নই। আসুন, পুলিশ অফিসার হিসেবে যেভাবে থাকা দরকার, সেখানেই ফিরে যাই।’