যুক্তরাষ্ট্রে এসাইলাম আবেদনকারী, যাদের আবেদন বিবেচনাধীন রয়েছে এবং তাদের মধ্যে যারা নিউইয়র্ক স্টেটে বসবাস করছেন, এমন হাজার হাজার ব্যক্তি স্টেটের নগদ আর্থিক সুবিধা লাভের যোগ্য হতে পারেন। নিউইয়র্ক স্টেটের ‘সেফটি নেট অ্যাসিস্ট্যান্স’ কর্মসূচির আওতায় তাদের সহায়তা প্রদানের বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত বলে জানা গেছে। তবে এই পদক্ষেপের সমালোচনা করছে অনেকে এবং তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছে যে, যারা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নয়, তাদেরকে নাগরিকদের সম্পদ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
গত প্রায় দুই বছরে নিউইয়র্ক সিটি নবাগত ইমিগ্রান্টদের আবাসন, চিকিৎসা এবং এসাইলাম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। মেয়র এরিক অ্যাডামসের অব্যাহত অনুরোধ সত্ত্বেও এ ব্যাপারে তহবিল সংস্থানে সিটিকে সহায়তা করতে পারেনি ফেডারেল বা স্টেট সরকার। ফলে অর্থনৈতিকভাবে প্রচণ্ড চাপে পড়েছে নিউইয়র্ক সিটি। সিটির অনুরোধের প্রেক্ষিতে স্টেটের “অফিস অফ টেম্পোরারি এন্ড ডিজঅ্যাবিলিটি অ্যাসিস্ট্যান্স” (ওটিড্ওি) একটি প্রযুক্তিগত আপডেট করেছে যাতে স্টেট ও ফেডারেল আইন মেনে ইমিগ্রান্টদের একটি অংশ অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তা পেতে পারেন,” বলে জানিয়েছেন ওটিডিএ’র মুখপাত্র। আয়ার কাউন্টি রিপাবলিকান কমিটি চেয়ারম্যান মাইকেল ক্রেকার বলেছেন, “নিউইয়র্ক স্টেট এমন সব ব্যক্তিকে সাহায্য করতে যাচ্ছে, এক সময়ে এই দেশে অবৈধভাবে বাস করতে বাধ্য হবে।
রিপাবলিকান নিকোল ম্যালিয়োটাকিস বলেছেন, “নিউইয়র্কের গভর্নর ও নিউইয়র্ক সিটির মেয়র যে আর্থিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন, সেটির সুবিধা নেওয়ার জন্য সমগ্র পৃথিবী থেকে লোকজন নিউইয়র্কে আসছেন। স্টেট ও সিটি করদাতাদের ওপর বোঝা চাপিয়ে বৈধ ও অবৈধ ইমিগ্রান্টদের কল্যাণ করছেন। বর্ডার সিকিউরিটি অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সেন্টারের ডিরেক্টর লোরা রিস বলেন, “দ্রুত ওয়ার্ক পারমিটের ইস্যু করার জন্য অনুরোধ জানানো এবং প্রি-পেইড ক্রেডিট কার্ড ও এ ধরনের আর্থিক সুবিধা প্রদান অবৈধ ইমিগ্রেশনকে আরও উৎসাহিত করবে।