নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে সাবওয়েতে ট্রেনে একজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ভোরে এই গুলাগুলির ঘটনা ঘঠে। ডাউন টাউন অভিমুখী ‘ডি’ ট্রেনের এক বগিতে একটি গ্রুপের কয়েক ব্যক্তির মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। তা এক পর্য়ায়ে সহিংসতায় মোড় নেয়। বন্দুক বের হয়। গুলাগুলি শুরু হয়। এতে ৪৫ বছর বয়সের এক ব্যক্তির বুকে গুলি লেগেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ভিক্টিমকে দ্রুত সেন্ট বারনাবাস হাসাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা দেন। পুলিশ জানিয়েছে, বন্ধুকধারী পালিয়ে গেছে এবং তর্কাতর্কির সুত্রপাত কি নিয়ে হয়েছিল সে বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। ব্রঙ্কসের ডি ট্রেনের ১৮২-১৮৩ স্ট্রীট স্টেশনটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয় । ডি ও বি ট্রেন দুটি ঐ স্টেশনটি বাইপাস করে যাতায়াত করে। নিউইয়র্ক পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। তারা বলেছে, গুলাগুলির পরমুহূর্তে কালো ড্রেস পরিহিত তিন ব্যক্তিকে সাবওয়ে স্টেশন থেকে পালাতে দেখা গেছে।
ঘটনার মোটিভ সম্পর্কে পুলিশ কিছুই বলতে পারেনি। অথবা ভিক্টিম ও তার হত্যাকারী পূর্বপরিচিত কিনা সে বিষয়টিও এখনো জানা যায়নি। নিউইয়র্কের সাবওয়ের ভিতরে গুলাগুলির ঘটনা বিরল। নগরীতে বন্দুক সহিংসতা রয়েছে। কিন্তু নগরীর সাবওয়ে সিস্টেমের ভিতরে গুলাগুলির ঘটনা খুব কমই ঘটে থাকে। কিন্তু এ বছরটিতে এর ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে।
ইতিমধ্যে কয়েকটি ঘটনা ঘটে গেছে সাবওয়ের ভিতরে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ব্রঙ্কসেই আরেকটি ঘটনা ঘটেছে। দুই পরস্পর বিরোধী স্ট্রীট গ্যাং মুখোমুখি হয়েগিয়েছিল। আপ টাউন অভিমুখী নাম্বার ‘2’ ট্রেনে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে তিন ব্যক্তি এক সঙ্গে বন্ধুক বের করে একে অপরকে গুলি করা শুরু করে। ঐ ঘটনায় ছয় জন গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। একটি গুলি সেখানে উপস্থিত ওবেদ সান্চেজ নামের ৩৫ বছরের এক মেক্সিকান ইমিগ্র্যান্টের বুকে লাগে। সান্চেজকেও সেন্ট বার্নাবাস হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। সেখানে সে মারা যায়। আহত বাকি ৫ জনের বয়স ১৪ থেকে ৭১ ছিল। ভিক্টিমদের সিংহভাগই নির্দোষ ট্রেন যাত্রি ছিল। যারা গুলাগুলির মাঝখানে পড়েগিয়েছিল। ঐ ঘটনায় তিন বন্দুকধারীর সকলেই টিনেজার। দুজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তৃতীয় সন্দেহভাজন ১৫ বছর বয়স্ক এখনো পলাতক রয়েছে।