আমেরিকার ভয়াবহ সমস্যা অবৈধ ইমিগ্রেশন 

ডেস্ক রিপোর্ট
  ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৬

আমেরিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই বিশ্বাস করেন যে অবৈধ ইমিগ্রেশন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত গুরুতর এক সমস্যা এবং তারা ক্রমবর্ধমান হারে এখন যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত বরাবর প্রাচীর নির্মাণ পরিকল্পনার সমর্থনে এগিয়ে আসছেন। এই ইস্যুর ওপর ‘মনমাউথ ইউনিভার্সিটি’ পরিচালিত এক জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা জরিপে অংশগ্রহণ কারী ৬১% আমেরিকান মনে করেন যে, অবৈধ ইমিগ্রেশন এক ভয়াবহ সমস্যা এবং বর্তমানে ইমিগ্রেশন পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে তা ২০২৪ সালের নির্বাচনে গুরুতর প্রভাব ফেলবে। ‘মনমাউথ ইউনিভার্সিটি’ পোলিং ইন্সটিটিউটের ডাইরেক্টর প্যাট্টিক মারে বলেছেন যে, নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অবৈধ ইমিগ্রেশন মূল ইস্যুতে পরিণত হতে
যাচ্ছে। ইন্সটিটিউটের অন্যান্য জরিপেও দেখা গেছে যে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইমিগ্রেশন ইস্যুতে সবচেয়ে বেশি দুর্বলতার পরিচয় দিয়েছেন, যা তার দলের উর্ধতন অনেকে পছন্দ করতে তো পারেননি, বরং বিরোধিতা করেছেন। গত ৯ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ জরিপ পরিচালিত হয়।
জরিপে অংশগ্রহণকারী ৬১% আমেরিকান বলেছেন যে, যারা যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভের জন্য সীমান্তে আবেদন করেছেন, তাদের আবেদনের চূড়ান্ত নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তারা যাতে মেক্সিকোতেই অবস্থান করতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মাত্র ৩৫ শতাংশ অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে, আবেদন নিস্পত্তি হওয়ার সময় পর্যন্ত তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের অনমুতি দেওয়া উচিত। জরিপ ফলাফল অনুযায়ী অবৈধ ইমিগ্রেশন রোধের জন্য ৫৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারী দক্ষিণ সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেছে, অপরদিকে ৪৬ শতাংশ এর বিরোধিতা করে মত দিয়েছেন। প্রাচীর নির্মাণ নিয়ে অতীতে পরিচালিত যেকোনো জরিপের চেয়ে এই জরিপে প্রথমবারের মতো সর্বোচ্চ সংখ্যক অংশগ্রহণকারী প্রাচীর নির্মাণের পক্ষে বলেছেন। ২০১৫ সালে ‘মনমাউথ ইউনিভার্সিটি’ পরিচালিত এক জরিপে প্রাচীর নির্মাণের পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করেছিল ৩০ শতাংশের কম সংখ্যক অংশগ্রহণকারী। আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ওপর গত সপ্তাহে ‘মনমাউথ ইউনিভার্সিটি’ পরিচালিত অপর এক জরিপে ইমিগ্রেশন ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গৃহীত পদক্ষেপগুলোকে সমর্থনে অভিমত ব্যক্ত করেছেন মাত্র ২৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারী, যা কোনোভাবেই কোনো প্রেসিডেন্টের পুন:নির্বাচনের লড়াইয়ে শুভ লক্ষণ নয় বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।