২০২৪-এ ২০২০-র মত বাইডেন-ট্রাম্প রিম্যাচ, তবে এবার শক্তিশালী থার্ড-পার্টি ক্যান্ডিডেট থাকার সম্ভবনা উজ্জ্বল। প্রচুর ভোটার আছেন, যারা বাইডেন বা ট্রাম্পকে চাননা, তারা থার্ডপার্টি প্রার্থীর দিকে ঝুঁকতে পারেন। বাইডেনের জন্যে থার্ডপার্টি প্রার্থী একটি বাড়তি সমস্যা। ২০১৬-তে থার্ডপার্টি প্রার্থী ৬%ভোট পেয়েছিলেন, ট্রাম্প জিতেছেন। ২০২০-তে থার্ডপার্টি প্রার্থী পেয়েছিলেন ২% ভোট, ট্রাম্প হেরেছেন।
রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়র থার্ডপার্টি ক্যান্ডিডেট হচ্ছেন বলে প্রচুর আলোচনা হচ্ছে। এমনিতে তিনি ডেমক্রেট, ক’দিন আগে দল ছেড়েছেন, প্রার্থী হচ্ছেন। কেনেডি বিভিন্ন জরিপে ডবল ডিজিট ভোট পাচ্ছেন। দোদুল্যমান স্টেটে বাইডেনকে হয়তো একদিন ট্রাম্প, অন্যদিকে থার্ডপার্টি প্রার্থী’র বিরুদ্ধে লড়তে হতে পারে।
ডেমক্রেটরা কেনেডিকে নিয়ে শংকিত, থার্ডপার্টি ক্যান্ডিডেটের বিরুদ্ধে মোর্চা গঠিত হয়েছে, তারা সোচ্চার হচ্ছেন। ট্রাম্পের একটি শক্তিশালী ভিত্তি আছে, ২০১৬/২০২০-তে তিনি এদের সমসংখ্যক ভোট পান, ৪৬% ও ৪৭%। এবার বাড়বে, বৈ কমবে না? থার্ডপার্টি প্রার্থী ভোট কাটলে ট্রাম্পের জন্যে তা সুফল বয়ে আনবে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাগুলো নির্বাচনের আগে আদৌ শুরু হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে?
ট্রাম্পের সাবেক ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স জানিয়েছেন যে, তিনি তাঁর ভূতপূর্ব বসকে সমর্থন জানাবেন না। পেন্স ৬ই জানুয়ারি ২০২১ ক্যাপিটল হিল আক্রমণ ঘটনার তীব্র সমালোচক, এ প্রসঙ্গে তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন। শুক্রবার ১৫ই মার্চ ফক্স নিউজকে তিনি বলেছেন, ট্রাম্পের অনুসৃত নীতিমালা যথেষ্ট রক্ষণশীল নয়।
শুক্রবার সকালে ফ্লোরিডার ফুলটন কাউন্টি সুপিরিয়র কোর্ট বিচারক স্কট ম্যাকফি ট্রাম্পের ক্লাসিফাইড ডক্যুমেন্ট মামলা থেকে ডিস্ট্রিক্ট কাউন্টি প্রসিকিউটর ফানি উইলিসকে সরাসরি অপসারণ না করে সুযোগ দিয়েছেন যে, ফানি ও তার অফিস এ মামলা থেকে সরে দাঁড়াবেন, অথবা কৌঁসুলি নাথান ওয়েড-কে অব্যাহতি দেবে। বিকালে নাথান ওয়েড পদত্যাগ করেন।
একই দিন নিউইয়র্কে বিচারক সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা ৩০দিন পিছিয়ে দিয়েছেন। এ মামলাটি হচ্ছে, পর্ন-ষ্টার স্ট্র্র্মী ড্যানিয়েল-কে ২০১৬’র নির্বাচনের আগে টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করার অপরাধ সংক্রান্ত। বলা হচ্ছে, টাকা দেয়াটা ‘আইনানুগ’ হয়নি। এ মামলা সংক্রান্ত প্রায় ৩১হাজার পৃষ্টার দলিলপত্র খতিয়ে দেখতে বিবাদী পক্ষকে ৩০দিন সময় দেয়া হয়।
জর্জিয়ার আদালত বুধবার ১৩ই মার্চ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনীত ১৩টি অভিযোগের মধ্যে ৩টি বাতিল করে দিয়েছেন। ৯-পাতার এ আদেশে বিচারক স্কট ম্যাকফি বলেছেন, এরমানে মামলা খারিজ তা কিন্তু নয়! তিনি অন্য অভিযুক্তদের ক’টি ধারাও বাতিল করেন।