যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ব্যবসায় জালিয়াতি মামলায় করা জরিমানার ৪৫ কোটি ডলার জমা দেয়ার শেষ সময় ২৫ মার্চ (সোমবার)। এর মধ্যে এ টাকা জমা না দিতে পারলে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও সম্পত্তির একাংশ জব্দ করা হতে পারে।
২৪ মার্চ (রবিবার) এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, নিউইয়র্কের এক আদালত ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার ছেলেদের ও কোম্পানির বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগে রায় দিয়েছেন। বছরের পর বছর ধরে সম্পদের প্রকৃত মূল্য গোপন করে তারা একাধিক ব্যাংক ও বিমা কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রতারণা করেছেন।
আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে ট্রাম্প লড়াই করলেও তাকে জরিমানার গ্যারান্টি হিসেবে আজকের মধ্যে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার মূল্যের বন্ড জমা দিতে হবে। বিশাল অঙ্কের এ বন্ড জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রাম্পের আইনজীবীদের। তারা প্রায় ৩০টি বিমা ও বন্ড কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করেও প্রয়োজনীয় অঙ্কের বন্ড আদায় করতে পারছেন না।
আবার বিকল্প হিসেবে, ট্রাম্পের সম্পত্তি বন্ধক রাখার ঝুঁকি নিতেও তারা প্রস্তুত নয়। কারণ অন্যান্য ঋণের জন্য ট্রাম্প আগে থেকেই তার বেশকিছু সম্পত্তি বন্ধক রেখেছেন।
এমতাবস্থায়, অন্য আদালত বা নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল হস্তক্ষেপ করলে ট্রাম্প কিছুটা বাড়তি সময় পেতে পারেন বলে জানা গেছে।
সাবেক ফেডারেল প্রসিকিউটর পিটার কাটজ জানিয়েছেন, জরিমানার অর্থ না দিতে পারলে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করাই সবচেয়ে সহজ উপায়। কারণ এরপর ব্যাংকই অর্থ দেয়ার জন্য চাপ দেবে তার গ্রাহককে। ব্যাংকে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট থেকে অ্যাটর্নি জেনারেলের অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা হবে।
তবে, ট্রাম্পের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ নিতে হলে নিউইয়র্ক সিটি শেরিফ বা ইউএস মার্শালকে জানাতে হবে। এরপর ওই অর্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের প্রধান অফিসে যাবে। আর সম্পত্তি জব্দ করতে দীর্ঘ সময় লাগে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। সম্পদ জব্দ করতে ৬৩ দিন লাগতে পারে।