আগামী নভেম্বরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্ভাব্য রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারাতে এক মঞ্চে এসেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার দুই পূর্বসূরি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও বিল ক্লিনটন। তারা ট্রাম্পকে আমেরিকার গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেন। এই সমাবেশে প্রেসিডেন্ট বাইডেন আড়াই কোটি ডলারের তহবিল তুলতে সক্ষম হন। এদিকে সমাবেশে প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে গণহত্যার সমর্থনকারী উল্লেখ করে স্লোগান দেন ফিলিস্তিনি আমেরিকানরা।
বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে সঙ্গে ওবামা ও ক্লিনটনকে দেখা যায়। ম্যানহাটনের রেডিও সিটি মিউজিক হলে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এই বাম্পার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নভেম্বরের নির্বাচনের আগে বাইডেন তহবিল সংগ্রহে বেশ সাফল্য দেখিয়েছেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাইডেনের নির্বাচনি প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত দলটি আড়াই কোটি ডলার তহবিল পাওয়ার নতুন রেকর্ডের কথা জানায়। তারা আরো জানান, বাইডেনের প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্প পুরো ফেব্রুয়ারি মাসেও এ পরিমাণ তহবিল সংগ্রহ করতে পারেননি। গায়িকা কুইন লাতিফা ও লিজ্জোসহ আরো কয়েক জন সংগীত পরিবেশন করেন। এর পর যুক্তরাষ্ট্রের ৪২, ৪৪ ও ৪৬তম প্রেসিডেন্ট একটি প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন। এই পর্বের সঞ্চালক ছিলেন কমেডিয়ান স্টিফেন কোলবার্ট। সঙ্গে ছিলেন ভোগ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক আন্না উইনটুর।
অনুষ্ঠানে ওবামা বলেন, ইসরাইল ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নৈতিক স্পষ্টতা আছে। তিনি সবার কথা শোনেন এবং একটি ঐকমত্যে যেতে চান। এ সময় এক জন দাঁড়িয়ে এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, প্রেসিডেন্টকে কেবল বললে এবং শুনলেই হবে না, অন্য পক্ষ কী করছে—সেটাই মূল কথা। আলোচনায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে আসে। পাশাপাশি, তিন সাবেক প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ঠাট্টা-তামাশায় মেতে ওঠেন সঞ্চালক কোলবার্ট। অনুষ্ঠান শেষে তিন জনই জো বাইডেনের প্রিয় এভিয়েটর সানগ্লাস পরে ছবি তোলেন।
বিশ্লেষকদের মতে, জো বাইডেনের নির্বাচনি তহবিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে ভালো অবস্থায় আছে, কারণ তিনি সমর্থক ও পৃষ্ঠপোষকদের কাছ থেকে পাওয়া অর্থের একটি অংশ তার আইনি খরচ মেটাতে ব্যবহার করছেন। ১৫ এপ্রিল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পর্নো তারকা স্টরমি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দিয়ে মুখ বন্ধ রাখার অভিযোগের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। এদিকে এই অনুষ্ঠান চলাকালীন হলের বাইরে বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনের পক্ষে স্লোগান দেন। হলের ভেতরেও কেউ কেউ শিস বাজিয়ে ও চিত্কার করে তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন। ফিলিস্তিনি আমেরিকানরা বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে হাজির হন। —সিএনএন ও এবিসি নিউজ