বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে ৫টায় ব্যস্ততম রাস্তা রুজভেল্ট এভিউনিউর (৭৩ স্ট্রিট) ওপর পার্কিং করা গাড়ির (নম্বর জেপিএস-৯৪২২) ট্রাঙ্ক খুলে সাড়ে ১০ হাজার ডলার মূল্যের স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা। এ সময় গাড়ির মালিক বিষ্ণু এবং তার পরিবারের (দুই শিশুসহ) চার সদস্য গাড়িতেই ছিল। দিনে দুপুরে এবং মানুষের সরব উপস্থিতিতে দূর্বৃত্তরা ফিল্মি কায়দায় এই স্বর্ণালঙ্কার লুট করে বিনা বাধায় সহজেই চম্পট দেয়। ঘটনার আকস্মিকতায় গাড়ির আরোহীরা কয়েক মুহুর্ত হতভম্ব হয়ে পড়েন। ধারনা করা হচ্ছে, স্বর্ণালঙ্কারের দোকান থেকে দূর্বৃত্তরা তাদের অনুসরণ করছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং অভিযোগ গ্রহণ করে। পুলিশ কাছে স্বর্ণালংকার ক্রেতা নিতু তালুকদার পুলিশকে জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি তার মা ও বাবা এবং দুই কন্যাকে নিয়ে জ্যাকসন হাইটসে ৭৪ স্ট্রিটে ওমকার স্বর্ণালঙ্কারের দোকানে যান এবং ঐ দোকান থেকে সাড়ে ১০ হাজার ডলার মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার ক্রয় করেন। এ সময় তাদের গাড়ি পার্কিং করা ছিল ৭৪ স্ট্রিটে মান্নান গ্রোসারীর সামনে। তারা জ্যামাইকা এলাকায় নিজের বাসায় ফিরে যাচ্ছিলেন, হঠাৎ তাদের মনে হয় যে দেশে টাকা পাঠাতে হবে। তারা রাস্তা থেকে ফিরে আসেন এবং রুজভেল্ট এভিনিউতে গাড়ি পার্কিং করেন। নিতু তালুকদার বিষ্ণুকে সঙ্গে নিয়ে একটি মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করেন। এ সময় গাড়িতে ছিল নিতু তালুকদারে বাবা ও মা এবং দু’ শিশু কন্যা।
তাদের গাড়ির পেছনে থাকা একটি গাড়ি থেকে ডাকাতরা (একজনের গায়ে লাল রঙের টি-শার্ট ছিল) গাড়ির ট্রাঙ্ক (ব্যাকডালা) খুলে ফেলেন এবং ট্রাংকে রাখা স্বর্ণালঙ্কারের থলে নিয়ে দ্রুট পালিয়ে যান। দূর্বৃত্তরা মাত্র কয়েক সেকে-ের মধ্যে এই ডাকাতি সম্পন্ন করে। এ সময় পথচারীরাও কিছু বুঝে উঠতে পারেনি বলে একজন পথচারী আজকালকে (প্রত্যক্ষদর্শী) জানান। এই ঘটনায় নিতু তালুকদারের বয়স্কা মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পুলিশ ও এ্যাম্বুলেন্স এসে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
নিতু তালুকদারের আত্মীয় বিষ্ণু জানিয়েছেন, নিতু তালুকদার তার মা ও বাবাকে নিয়ে দেশে যাবার প্রস্তুতি নিয়েছেন। দেশে যাবে বলে তারা স্বর্ণালঙ্কারসহ কেনাকাটা করতে জ্যাকসন হাইটসে এসেছিলেন। তাদের ধারনা, জ্যাকসন হাইটসে স্বর্ণালঙ্কারের দোকানের আশে-পাশে ডাকাতরা উঁৎ পেতে থাকে। স্বর্ণালাঙ্কার ক্রেতাদের অনুসরণ করে স্থান এবং সময়-সুযোগ বুঝে হামলা চালায়। এই ডাকাতরা প্রয়োজনে ক্রেতাদের অনুসরণ করে বাড়ি পর্যন্ত আসতে পারে এবং বাড়িতে ডাকাতি করতে পারে বলেও ধারনা করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে ওমকার স্বর্ণালঙ্কারের মালিক ০০ এর সঙ্গে যোগাযোগ করে ডাকাতির কথা বললে তিনি বলেন, আমরা ব্যবসায়ীরাও আতঙ্কেতর মধ্যে রয়েছি। আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও ডাকাত প্রবেশ করেছিল। আমিও বন্দুকের মুখোমুখি হয়েছিলাম। তিনি আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এই ঘটনা জ্যাকসন হাইটস এলাকার ব্যবসায়ীদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।