অবৈধ ইমিগ্রেশন বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর পরিকল্পনা

ডেস্ক রিপোর্ট
  ০৩ মে ২০২৪, ১২:১৪

যুক্তরাষ্ট্র এবং মেক্সিকো তাদের অভিন্ন সীমান্তে অবৈধ ইমিগ্রেশন বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন উভয় দেশের নেতারা গত সোমবার বলেছেন যে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সীমান্ত চেকপয়েন্টগুলো এবং সীমান্তের যেসব স্থানে প্রহরা শিথিল, বা জলসীমা রয়েছে, সেসব স্থান দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশ অতীতে সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এর আগের দিন রোববার টেলিফোনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর আলোচনা করেছেন।
তারা বলেছেন যে, তাদের প্রশাসন সীমান্ত পারাপারের অবৈধ স্থানগুলো বন্ধ করার পদক্ষেপ নেবে এবং যেসব কারণে লোকজন ভিন্ন দেশে পাড়ি জমানোর ঝুঁকি গ্রহণ করে, সেসব সমস্য মোকাবিলা করার উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
তাদের আলোচনার পর সোমবার দুই দেশের নেতারা যে বিবৃতি দেন, তাতে বলা হয়েছে যে. স্বল্প মেয়াদে, দুই নেতা তাদের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থাকে অবিলম্বে মানবাধিকার রক্ষার পাশাপাশি অনিয়মিত সীমান্ত পারাপার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করার দৃঢ় পদক্ষেপ বাস্তবায়নের জন্য একযোগে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ইউএস বর্ডার পেট্টল গত ডিসেম্বর মাসে ২৫০,০০০ বিদেশি অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে বলে তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, যে সংখ্যা ছিল একটি রেকর্ড। কিন্তু ১৩৭,০০০ জন অবৈধ ইমিগ্রান্টকে গ্রেফতার ও সীমান্তে আটকে দেয়ার পর গত মাসে (মার্চ ২০২৪) অবৈধ অনুপ্রবেশ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট লোপেজ ওব্রাডর বলেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে কম বিদেশি আগমনের কারণ হচ্ছে, সামাজিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে মেক্সিকো অন্যান্য ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোতে আর্থিক ও সামাজিক সহায়তা বৃদ্ধি করেছে। তিনি আরো বলেছেন যে, মেক্সিকোর সঙ্গে যেসব দেশের অভিন্ন সীমান্ত রয়েছে, তার দেশ সেইসব দেশের সীমান্তে বৈধ ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া উন্মুক্ত রাখা নিয়ে আমেরিকান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু তার দেশ আইন বহির্ভূত কোনো ইমিগ্রেশনের অনুমতি দেবে না।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সীমান্ত সুরক্ষার বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি কঠোর করেছেন, কারণ ইমিগ্রেশন ইস্যু আমেরিকান ভোটারদের মধ্যে শীর্ষ উদ্বেগ হিসাবে বিবেচিত এবং অনেক ক্ষেত্রে এমনকি ডেমোক্রেটরাও বাইডেনের উদার ইমিগ্রেশন নীতির বিরোধিতায় অবতীর্ণ। তার প্রতিপক্ষ সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ রিপাবলিকানরা ট্রাম্প-যুগের কঠোর সীমান্ত নীতি কার্যকর করা অবৈধ সীমান্ত অতিক্রম রোধে ব্যর্থ হওয়ার জন্য বাইডেনের সমালোচনা করে আসছে।
হোয়াইট হাউস সীমান্তে ইমিগ্রান্ট প্রবাহ ঠেকাতে প্রেসিডেন্টে নির্বাহী এখতিয়ার ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এর এক রিপোর্টে বলা হয়েছে। তবে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বেশকিছু ডেমোক্রেট আইনপ্রনেতা আইনি চ্যালেঞ্জ করতে পারেন বলেও আভাস পাওয়া গেছে।
হোয়াইট হাউস যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে আমেরিকান নাগরিকদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ইমিগ্রান্টদের সাময়িক বৈধতা দান ও তাদেরকে বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার অনুমতি দেওয়ার উপায়গুলি নিয়েও আলোচনা করছে, যা সীমান্তে বিধিনিষেধ আরোপের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ভারসাম্য হিসাবে কাজ করতে পারে।