ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে কিছুটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে নিউইয়র্ক। ছাত্রদের আন্দোলন ঠেকাতে গ্রেপ্তারও যেন কাজে আসছে না। তবে ফিলিস্তিনিপন্থীদের আন্দোলনে শহরের পরিবেশ কিছুটা অস্থিতিশীল থাকলেও এপ্রিলে সিটির বড় অপরাধের সংখ্যা অনেকটা কমেছে। তবে বেড়েছে ঘৃণামূলক অপরাধের মাত্রা।
৭ মে মঙ্গলবার নিউইয়র্ক পুলিশের প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জাননো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিউইয়র্ক সিটিতে এপ্রিল মাসে বেশিরভাগ বড় অপরাধের সংখ্যা কমেছে। কিন্তু ঘৃণামূলক অপরাধ ৩৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। শহরের সামগ্রিক অপরাধ সূচক গত মাসে ২০২৩ সালের এপ্রিলের তুলনায় ৪.৯ শতাংশ কমেছে। এসব অপরাধের মধ্যে রয়েছে খুন, চুরি, অটো চুরি এবং গ্র্যান্ড লুর্সিনি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই সময়ে গুলির ঘটনা ১৫.৫ শতাংশ এবং পরিবহন সংক্রান্ত অপরাধ কমেছে ২৩ শতাংশ। এপ্রিল মাসে মুসলিম বিরোধী ঘটনাও দ্বিগুণ হয়েছে। গত বছরের যে সংখ্যা ছিলো ৩ চলতি বছর তা বেড়ে হয়েছে ৬। এছাড়া খুনের ঘটনা ৩৩ থেকে কমে ২৩ এবং চুরি ১ হাজার ১২২ থেকে কমে ১ হাজার ৩ এ নেমেছে। এছাড়া অটো চুরি ১ হাজার ২৭৩ থেকে কমে হয়েছে ১ হাজার ১৩৪ এবং গ্র্যান্ড লর্সেনি ৪ হাজার ৫১ থেকে কমে হয়েছে ৩ হাজার ৭৭২।
এদিকে গুলির ঘটনা ৭০ থকে ৬০ এবং পরিবহন সংক্রান্ত অপরাধ ১৭৪ থেকে ১৩৪ এ নামলো। এনওয়াইপিডি’র তথ্য মতে, ছিনতাইয়ের ঘটনা আগের বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এর সংখ্যা ১ হাজার ২৩৭ থেকে বেড়ে ১ হাজার ৩২৬ এ পৌঁছেছে। এছাড়া র্ধষণের ঘটনা বেড়েছে ৬টি।
তথ্য অনুসারে, শহরটি বছরে ৩৯ শতাংশ ঘৃণামূলক অপরাধের বৃদ্ধি পেয়েছে,যা আগের বছর ছিলো ৪৬ চলতি বছর পৌঁছেছে ৬৪ তে। গত মাসে এনওয়াইপিডি ৩২টি ইহুদি বিরোধী ঘটনা শনাক্ত করে যা গত বছরের এপ্রিলে ১৬টি ছিল৷
কর্মকর্তারা বলছেন, প্রশাসনের দক্ষতা এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়নের কারণে অপরাধ কিছুটা কমেছে। তবে কেউ কেউ আইনের ফাঁক ফোকর বন্ধ না হলে শহরের পরিবেশ স্থিতিশীল রাখা কষ্টসাধ্য হবে বলেও মন্তব্য করেছেন।