নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নিতে যাচ্ছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর মার্কিন গণমাধ্যম এবিসিতে এই বিতর্কটি সম্প্রচারিত হবে। সাম্প্রতিক জনমত জরিপে দেখা গেছে, এই দুই প্রার্থীর মধ্যে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। খবর ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
ফ্লোরিডার পাম বিচে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি কমলার সঙ্গে আরও দুটি বিতর্কে অংশ নিতে ইচ্ছুক। ৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বরের বিতর্কগুলো ফক্স ও এনবিসিতে সম্প্রচার করার পরিকল্পনা রয়েছে।
অবশেষে ‘ট্রাম্প রাজি হওয়ার’ পর, ১০ সেপ্টেম্বরের বিতর্কের জন্য প্রস্তুতি শুরুর কথা জানিয়েছেন কমলা হ্যারিস। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের একটি পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।
ডেট্রয়েটে এক নির্বাচনী প্রচারণার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় কমলা জানান, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে আরও বিতর্কে অংশ নিতে আগ্রহী। তবে তার নির্বাচনী প্রচারণার এক কর্মকর্তা বলেছেন, ৪ সেপ্টেম্বরের ফক্স বিতর্ক নিয়ে আলোচনা এখন আর টেবিলে নেই।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে ভবিষ্যৎ বিতর্কের বিষয়টি ১০ সেপ্টেম্বরের বিতর্কে ট্রাম্পের অংশগ্রহণের ওপর নির্ভরশীল। যদিও কমলার প্রচার টিম ইতোমধ্যে ফক্সের বিতর্কে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা নাকচ করেছে, তারা বলছে, এই বিতর্কের আয়োজন এমন কোনও নেটওয়ার্কের করা উচিত যারা উভয় পক্ষের প্রাথমিক বিতর্কে স্পন্সর করেছে।
এবিসির বিতর্কে অংশগ্রহণ না করার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে এই বক্তব্য তিনি দিয়েছিলেন জো বাইডেনকে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিসের স্থলাভিষিক্ত করার আগেই। মূলত ১০ সেপ্টেম্বরের বিতর্কটি হওয়ার কথা ছিল জো বাইডেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে। এর আগে, ২৭ জুন সিএনএনে বাইডেন-ট্রাম্পের প্রথম বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।
রয়টার্সের বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক জরিপে দেখা গেছে, জুলাইয়ের শেষ দিক থেকে কমলার জনসমর্থন বাড়তে শুরু করেছে, যা তাকে প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে নিয়ে গেছে। জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, কমলার প্রতি সমর্থন রয়েছে ৪২ শতাংশ ভোটারের, যেখানে ট্রাম্পের সমর্থন ৩৭ শতাংশ।
এর আগে, ২২-২৩ জুলাইয়ের একটি রয়টার্সের জরিপে দেখা গিয়েছিল, দুজনের সমর্থন ছিল যথাক্রমে ৩৭ এবং ৩৪ শতাংশ।