সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে এই নির্বাচন। এরই মধ্যে প্রচার শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারশিবির হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে ও জন্য ইরানকে দায়ী করা হচ্ছে।
শনিবার (১০ আগস্ট) ট্রাম্পের প্রচারশিবির জানিয়েছে, তাদের প্রচারশিবিরের অভ্যন্তরীণ কিছু তথ্য হ্যাকিংয়ের কবলে পড়েছে। ট্রাম্প শিবির জানিয়েছে, এই হ্যাকিংয়ের পেছনে রয়েছে ইরান।
যদিও এই অভিযোগের পক্ষে সরাসরি কোনো তথ্যপ্রমান দেয়নি ট্রাম্পের প্রচরশিবির। তবে অতীতের বিরোধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেরর তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাই থেকেই তারা বেনামি একটি উৎস থেকে ই-মেইল পেতে শুরু করে। এসব ই-মেইলে ট্রাম্পের প্রচারশিবিরের কার্যক্রমের অভ্যন্তরীণ ও প্রকৃত কিছু তথ্য ছিল। এর পরেই তারা (ট্রাম্পের প্রচারশিবির) বুঝতে পারে যে হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে। এমনকি অজ্ঞাত উৎস থেকে পাওয়া ই-মেইলে ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট (রানিং মেট) পদপ্রার্থী জেডি ভ্যান্সের সম্ভাব্য দুর্বলতা নিয়েও তথ্য ছিল বলে জানা গেছে।
এই নিয়ে ট্রাম্পের প্রচারশিবিরের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এর মধ্য দিয়ে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার ও মার্কিন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা করা হয়েছে।
যদিও ট্রাম্প শিবিরের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পরিচয় ও তাদের উদ্দেশ্য স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। এই বিষয় নিয়ে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিংবা জাতিসংঘের প্রতিনিধি তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে জাতিসংঘে ইরানের মিশন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়। কখনোই এতে হস্তক্ষেপ করে না ইরান। এগুলোর সঙ্গে কোনভাবেই যুক্ত নয় ইরান।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সময় থেকেই ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ভালো ছিল না। ২০২০ সালে ইরানের সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তখন থেকেই সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে দুই পক্ষের মধ্যে। এমনকি ইরানের সঙ্গে করা পারমাণবিক চুক্তি থেকেও যুক্তরাষ্ট্রের নাম সরিয়ে নিয়েছিল ট্রাম্প।
গত জুলাইয়ে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে হামলার কবলে পড়েছিলেন ট্রাম্প। ইরানের সঙ্গে ওই সন্দেহভাজন হামলাকারীর কোন সম্পর্ক আছে কিনা তা এখনও জানা যায় নি। এমনকি এই হামলার পেছনে কোনো তথ্যপ্রমাণ সেইভাবে পাওয়া যায় নি। যদিও বরাবরই এই হামলার পেছনে ইরানের হাত রয়েছে বলে দাবি করে আসছে ট্রাম্পের নিরাপত্তা শিবির। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ইরান।