নিউইয়র্কে জনপ্রিয় ও লাভজনক হোমকেয়ার সার্ভিসে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। নিউইয়র্ক স্টেট হেলথ ডিপার্টমেন্ট হোমকেয়ার সেবাদানকারীদের বেতন ১৯.০৯ ডলার নির্ধারণ করে দিলে এতে ঝুঁকির মুখে পড়েছে প্রায় ৭শ হোমকেয়ার এজেন্সি। এতে করে হোমকেয়ার সার্ভিস এজেন্সী গুলো সেবাপ্রদানে আগ্রহ হারানোয় বিপাকে পড়েছে কয়েকলাখ সেবাগ্রহীতাও। এর আগে হোমকেয়ার সার্ভিস রিকুয়েস্ট ফর অপার (আরএফও) তালিকা ভুক্ত না হলে হেলথ ডিপার্টমেন্ট সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের ইংগিত দিলেও পরবর্তীতে সেটি বাতিল করা হয়। যার মাধ্যমে হোমকেয়ার সার্ভিসে স্বস্তি ফিরে এলেও নতুন করে ঘন্টাপ্রতি হোমকেয়ার সার্ভিস চার্জ কমিয়ে দেওয়ার এ ব্যবসায় আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকেই। হোমকেয়ার ব্যবসা পরিচালনায় নতুন এ আইনের মাধ্যমে এ খাতটি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা। আগে প্রতিষ্ঠানগুলো ঘন্টাপ্রতি ২৪-২৫ ডলার সেবা দানকারীকে দিলেও এখন তার থেকে কমিয়ে দেয়া হয়েছে প্রায় ৫ ডলার। এতে করে লোকসান এড়াতে অনেক প্রতিষ্ঠানই করছে ব্যয় সংকোচন। কেউ কেউ করছে কর্মী ছাটাইও। হেলথ ডিপার্টমেন্টের এ আইনটির মাধ্যমে হোম কেয়ার সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়ার চক্রান্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন এ খাতে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, হেলথ ডিপার্টম্যান্ট যে রেট নির্ধারণ করে দিয়েছে সবমিলে আমাদের খরচও এর থেকে বেশি হয়ে যায়। সেখানে এ রেটে প্রতিনিয়ত লোকসান দিয়ে তো আমরা সেবা দিতে পারব না। একসময় নিরুপায় হয়ে যাতে আমরা ব্যবসা ঘুটিয়ে নিই সে চক্রান্তই করা হয়েছে এ আইনের মাধ্যমে। গত কয়েক মাস ধরে গভর্ণর ক্যাথি হকুল নিউইয়র্কে সেবা প্রদানকারী ৭শ হোমকেয়ার সার্ভিস এজেন্সিকে একটি প্রতিষ্ঠানের আওতাভুক্ত করার চেষ্টা করছেন। এ নিয়ন্ত্রণ করা হলে হোমকেয়ার ব্যবসা আরো কঠিন হয়ে যাবে বলেও মনে করছেন অনেকেই। এতে করে অনেক কর্মী তাদের চাকরি হারাবেন বলেও আশঙ্কা করেন তারা। গভর্ণর ক্যাথি হকুলের এই পদক্ষেপ প্রসঙ্গে সারাহ হোমকেয়ারের প্রেসিডেন্ট জিসি বলেন, এই সেবাটি আত্নীয় স্বজন এবং পরিচিত জনের মধ্যেই বেশী হয়। বাহিরের লোক এসে তারা এত গুলো এজেন্সীকে হ্যান্ডেল করা সম্ভব হবেনা বলে মনে করেন। সেবাদানকারীদের ঘন্টা প্রতি ১৯.০৯ ডলার করা প্রসঙ্গে এসেনসিয়াল হোমকেয়ারের সিইও মোহাম্মদ হোসেন ইশতিয়াক বলেন, এখন আর নির্ধারিত রেটের বাইরে কেউ দিতে পারবেনা। এবং এজেন্সি গুলো ট্যাক্স দেয়ার পর আর তেমন একটা লাভের সম্ভাবনা নেই। এই জন্য সামনে হোমকেয়ার ব্যবসা সংকুচিত হয়ে আসবে বলে তিনি মনে করেন। ইমিগ্রেন্ট হোমকেয়ারের সিইও গিয়াস আহমেদ বলেন, গভর্ণর ক্যাথি হকুলের একটি এজেন্সিকে দায়িত্ব দেয়ার পদক্ষেপের ফলে হোমকেয়ার ব্যবসায়িদের মধ্যে আরো হতাশা বেড়েছে। তবে আমি গভর্ণর ক্যাথি হকুলের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সরাসরি তাকে জানিয়েছি। তিনি আমার ব্যাখ্যাটি বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।