যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ৮ নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচন দেশটিতে হোয়াইট হাউসে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট এবং তার দলের ভাগ্য নির্ধারণের পাশাপাশি পুরো জাতির দিকনির্দেশনার ওপর এক বিরাট প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে। মধ্যমেয়াদী এই নির্বাচনকে সাধারণত প্রেসিডেন্টের মেয়াদের প্রথম ২ বছরের ওপর গণভোট হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যাতে ক্ষমতাসীন দলটি প্রায়শই মার খায়।
গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জনমত জরিপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের রেটিং বেশ খারাপ ছিল। যদিও গ্রীষ্মকালে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সৌভাগ্য কিছুটা ফিরে এসেছে বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু এই নির্বাচনের প্রচারের চূড়ান্ত পর্বে মুদ্রাস্ফীতির উঁচু হার এবং অর্থনীতি নিয়ে শঙ্কা আবার ফিরে এসেছে। এর ফলে কংগ্রেসের উভয় কক্ষতে ক্ষমতা ধরে রাখা ডেমোক্র্যাটদের জন্য একটি কঠিন লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম দু’বছরে, কংগ্রেসে তার সামান্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার পরও বাইডেন জলবায়ু পরিবর্তন, আগ্নেয়াস্ত্র-নিয়ন্ত্রণ, অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ এবং দরিদ্র শিশুদের জন্য নতুন আইন চালু করতে পেরেছেন।
যদি মার্কিন সংসদের দুটি কক্ষের মধ্যে কোনো একটি রিপাবলিকানদের হাতে চলে যায়, তাহলে ডেমোক্র্যাটদের আনার বিলগুলো কংগ্রেসে পাস হওয়া তারা ঠেকিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করবে। এর ফলে জটিলতা তৈরি হবে।
ডেমোক্র্যাটদের জন্য এই নির্বাচনের একটি খারাপ রাতকে বাইডেনের রাজনৈতিক দুর্বলতার লক্ষণ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হবে এবং ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের মৌসুম শুরু হলে অন্য ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর স্বার্থে বাইডেনকে সরে দাঁড়ানোর ডাক নতুন করে উঠতে পারে।
প্রেসিডেন্ট এবং তার উপদেষ্টারা জোর দিয়ে বলছেন যে তিনি পুনঃনির্বাচনে লড়বেন। তবে কোন কোন প্রাইমারি নির্বাচন–যেখানে একই দলের প্রার্থীরা মনোনয়নের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন– তার মাধ্যমে একজন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টকে অপসারণ করার ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের আধুনিক রাজনৈতিক ইতিহাসে শুধুমাত্র একবারই ঘটেছে।