মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তে জুনে কার্যকর হওয়া ‘অ্যাসাইলাম ব্যান’ বা আশ্রয় নিষেধাজ্ঞাকে আরও কঠোর করা হবে কিনা এ নিয়ে আলোচনা করছে বাইডেন প্রশাসন। এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর থেকেই, এই সীমান্তে অবৈধ ক্রসিংয়ের পরিমাণ কমানো অব্যাহত রাখতে এ বিষয়ে আলোচনা করছেন কর্মকর্তারা। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের এক কর্মকর্তার বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
দুই সপ্তাহ অন্তর অন্তর যদি অবৈধভাবে দক্ষিণ সীমান্ত অতিক্রমকারী অভিবাসীদের সংখ্যা এক সপ্তাহের জন্য প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজারের নিচে নেমে আসে তবে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ডিএইচএস কর্মকর্তা বলেছেন, আলোচনাধীন এই পরিবর্তন তখনই কার্যকর হবে যখন সীমান্তে ধরা পড়া অভিবাসীল সংখ্যা সেই স্তরের নীচে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত থাকবে।
তবে দিনে দেড় হাজারের কম সংখ্যাটি এখনও আসেনি। বরং জুলাইয়ে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার ৮২০ অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছিল মার্কিন বর্ডার পেট্রোল। তবে কর্মকর্তারা জানান, ডিসেম্বরে এমন একটি দিনও এসেছিল যেদিন এই সংখ্যাটি ১০ হাজার ৮’শতে পৌঁছেছিল, যা সেই সময়ে একটি রেকর্ড গড়েছিল বা গড়ার কাছাকাছি ছিল।
এই আলোচনা নিয়ে প্রথম প্রতিবেদন করেছিল নিউইয়র্ক টাইমস। ডিএইচএসের এক মুখপাত্র বলেছেন, বিভাগটি জনসাধারণের মন্তব্য পর্যালোচনা করছে। তবে এটি সম্ভাব্য পরিবর্তনের বিষয়ে প্রকাশ্যে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে পারে না।
৫ নভেম্বরের নির্বাচনে অবৈধ অভিবাসন ইস্যুটি মার্কিন ভোটারদের কাছে একটি শীর্ষ উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি পুনর্নির্বাচিত হলে অভিবাসীদের ব্যাপকহারে নির্বাসন দিবেন। একইসঙ্গে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসী অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার কারণে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সীমান্ত সুরক্ষার পদ্ধতির সমালোচনাও করেছেন তিনি।
ডেমোক্র্যাটিক মনোনীত প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা চলতি বছরের শুরুতে মার্কিন সিনেটে ব্যর্থ হওয়া দ্বিদলীয় সীমান্ত সুরক্ষা বিলের বিরোধিতা করায় ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন।
মার্কিন সরকারের পরিসংখ্যান অনুসারে, বেআইনিভাবে মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্ত অতিক্রম করে ধরা পড়া অভিবাসীর সংখ্যা জুলাইয়ে কমে ৫৬ হাজারে নেমে এসেছে। মে মাসে এ সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১৮ হাজার।