নভেম্বরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র নয়, বরং এর অর্থনৈতিক প্রভাব সারা বিশ্বের ওপর প্রভাব ফেলবে। এবারের নির্বাচনে ভোটাররা দুটি ভিন্ন অর্থনৈতিক নীতির মধ্যে বেছে নেওয়ার মুখে রয়েছেন।
ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস তার অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বিস্তারিতভাবে জানাননি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নীতিগুলো অব্যাহত রাখবেন। এই নীতিগুলোর মধ্যে রয়েছে—অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা বজায় রাখা, পরিবেশ রক্ষা, জীবনযাত্রার ব্যয় কমানো এবং বৈষম্য হ্রাস করা।
অন্যদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নীতিতে কয়লা ও তেল শিল্পকে অগ্রাধিকার দিয়ে যাচ্ছেন, যা মার্কিন অর্থনীতিকে দুর্বল এবং বৈষম্যমূলক করে তুলবে। তার শাসনামলে কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় তার ব্যর্থতা এবং বিজ্ঞানভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের অভাব লক্ষণীয় ছিল। ট্রাম্পের প্রস্তাবিত চীন থেকে পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি বাড়াবে এবং নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলবে।
যদি ট্রাম্প আবার ক্ষমতায় আসেন, তবে মার্কিন অর্থনীতি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে এবং বাইডেন প্রশাসনের পরিবেশ ও স্বাস্থ্য নীতিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
কমালা হ্যারিসের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিযোগিতামূলক ও টেকসই অর্থনীতি বজায় রাখার প্রত্যাশা রয়েছে, যা বৈশ্বিক মন্দার বিরুদ্ধে একটি কার্যকর প্রতিরোধ হিসেবে কাজ করতে পারে। অন্যদিকে, ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের স্বাধীনতার জন্য একটি বড় হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা তার নেতৃত্বে আর্থিক অস্থিরতা ও মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাছাড়া, পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ বাতিল করা হলে, কার্বন নিঃসরণ এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী চলমান প্রচেষ্টাগুলোও বাধাগ্রস্ত হতে পারে।