ভারতের বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী তিনদিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। লোকসভা নির্বাচনের পর ৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বরের এই সফর রাহুলের প্রথম আমেরিকা গমন। তিনি দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করার জোরালো বার্তাও দিয়েছেন।
নিজের ফেসবুক পেজে রাহুল লিখেছেন, এই সফরে যেন দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হয়, তার জন্য আমি মুখিয়ে রয়েছি। আলোচনা ও কথোপকথনের মাধ্যমে দুই দেশের বন্ধন দৃঢ় হবে বলেই আমি আশাবাদী।
ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেসের প্রধান স্যাম পিত্রোদার মতে, আমেরিকায় থাকাকালীন রাহুল গান্ধী ডালাস এবং ওয়াশিংটন ডিসি সফর করবেন। তিনি ভারতীয় প্রবাসীদের পাশাপাশি ব্যবসায়ী ও একাডেমিক নেতাদের সঙ্গেও দেখা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিউইয়র্ক সফরের ঠিক আগে রাহুলের এই সফরটি এলো।
এর আগে ২০২৩ সালের মে মাসে আমেরিকা সফরে গিয়ে মোদি সরকারের সমালোচনা করে মন্তব্য করে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন রাহুল। সেই সময় ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, বিজেপি মানুষকে হুমকি দিচ্ছে এবং সরকারি সংস্থাগুলোর অপব্যবহার করছে।
কংগ্রেস নেতার আসন্ন আমেরিকা সফর নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, ভারতে এ বছরের লোকসভা নির্বাচনের পরে কংগ্রেসের প্রতি বিশ্বব্যাপী আগ্রহ এবং সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে। নির্বাচনে ভালো ফলের পরে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং উভয়ই সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারত সফরের সময় রাহুলের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। বিশ্বজুড়ে ভারতের কূটনৈতিক অংশীদাররাও কংগ্রেসের সাথে যোগাযোগ বাড়িয়েছে।
দ্বিতীয়ত, রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেস নিঃসন্দেহে শক্তিশালী ভারতীয়-আমেরিকান প্রবাসীদের মধ্যে আরও সমর্থন পেতে আগ্রহী। ভারতীয়-আমেরিকানরা মোদির জন্য রাজনৈতিক তহবিলের মূল উৎস। তিনি ভারতীয় সম্প্রদায়কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার কূটনৈতিক ব্যস্ততার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছেন। ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে মোদির ২০১৪ সালের মেগা শো এবং ২০১৯ সালের 'হাউডি মোদি' সমাবেশ হাজার হাজার ভারতীয়-আমেরিকানকে আকৃষ্ট করেছিল। রাহুলের সফরের লক্ষ্য হতে পারে একই প্রভাব অর্জন করা এবং ভারতীয় প্রবাসীদের সমর্থনের বিষয়ে মোদির 'দৃঢ় বিশ্বাস' ভেঙে দেওয়া।