যুদ্ধে ইউক্রেনের জয় চান কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি চাই এই যুদ্ধ বন্ধ হোক।’
ট্রাম্প জানান, তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উভয়কেই খুব ভালো করে চেনেন।
ইউক্রেনে রাশিয়ার এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যয় নিয়েও কথা বলেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় ইউরোপ অনেক কম অর্থ প্রদান করছে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘কমলা হ্যারিস ইসরায়েলকে ঘৃণা করেন। একই সময়ে তিনি নিজের মতো করে আরব জনগণকেও ঘৃণা করেন।’
এ সময় ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়, কিভাবে তিনি গাজায় চলমান যুদ্ধ শেষ করবেন এবং হামাসের হাতে জিম্মি থাকা বেসামরিক মানুষদের ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হবেন?
জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকলে এ যুদ্ধই হতই না।’ তিনি আরও বলেন, ‘কমলা ইসরায়েলকে ঘৃণা করেন। যদি তিনি (কমলা) প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, আমার বিশ্বাস, এখন থেকে দুই বছরের মধ্যে ইসরায়েলের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।’
জবাবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা। তিনি বলেন, ট্রাম্প ‘বিভাজন এবং বাস্তবতা থেকে সরিয়ে আনার’ চেষ্টা করছেন।
গাজা যুদ্ধের বিষয়ে কমলা তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেন। বলেন, এই যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। অবিলম্বে তা করতে হবে। সেই সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে গাজার পুনর্গঠনের জন্য দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পক্ষে নিজের অবস্থান জানান কমলা।
এর আগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ৯টায় (বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল ৭টায়) কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরাসরি বিতর্ক শুরু হয়।
করমর্দনের মাধ্যমে এ বিতর্ক শুরু হলেও। প্রথম প্রশ্ন শুরু হয় অর্থনীতি নিয়ে। এই বিতর্কের অন্যতম বিষয় হতে পারে অর্থনীতি বিশেষ কর মূল্যস্ফীতি।