মার্কিন নির্বাচনি বিতর্কে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারফরম্যান্সে হতাশা দেখা দিয়েছে রিপাবলিকান পার্টি সদস্য, দাতা ও উপদেষ্টাদের মধ্যে। তাদের অভিমত, মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে বিতর্কে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছেন ট্রাম্প। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
বিতর্কে ট্রাম্পের পারফরম্যান্সকে ‘দুর্বল’ অভিহিত করে রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেছেন, ‘ (বিতর্কে) একটা সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেল। তিনি লক্ষ্যে স্থির থাকতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। ফলে মঞ্চে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ হারিয়েছেন।’
৫৯ বছর বয়সী হ্যারিস তার সুচিন্তিত বক্তব্যে প্রায় পুরোটা সময় ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্পকে কোণঠাসা করে রেখেছিলেন। সাবেক প্রেসিডেন্টের আইন লঙ্ঘনমূলক বিভিন্ন কাজ ও ওভাল অফিসে বসার যোগ্যতা নিয়ে ক্রমাগত প্রশ্ন করে ট্রাম্পকে রক্ষণাত্মক অবস্থানে নিয়ে যান হ্যারিস।
ট্রাম্পের সাবেক মিত্র ও বর্তমান সমালোচক ক্রিস ক্রিস্টি বলেছেন, ‘হ্যারিসের প্রস্তুতি ছিল চমৎকার। কিন্তু ট্রাম্পের এখানে ঘাটতি দেখা গেছে। বিতর্ক প্রস্তুতিতে সহায়তাকারী ব্যক্তি যেই হোক, সে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তাকে বরখাস্ত করা উচিত।’
২০১৬ নির্বাচনি বিতর্কে ট্রাম্পের প্রস্তুতিতে সহায়তা করেছিলেন ক্রিস্টি।
বিতর্ক দলে কোনও রদবদল হবে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্তব্য করেনি ট্রাম্প শিবির।
এদিকে বুধবার ‘ফক্স অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’ অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেছেন, ‘এটা আমার সেরা বিতর্কগুলোর একটা ছিল বলেই তো মনে করছি, বোধহয় এখন পর্যন্ত এটাই শ্রেষ্ঠ।’ ডেমোক্র্যাটদের আহ্বানে আরেক দফা বিতর্কের বিষয়ে আগ্রহী কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার দিকে আগ্রহ একটু কমই। কারণ আমার সন্ধ্যাটা তো অসাধারণ গেছে।’
এবিসি নিউজ আয়োজিত এই বিতর্কের টেলিভিশন দর্শক ছিল প্রায় ৬ কোটি ৭১ লাখ। অবশ্য অনলাইন দর্শকের সংখ্যা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রিপাবলিকান পার্টির ৬ জন দাতা ও ট্রাম্পের ৩ উপদেষ্টা বলেছেন, বিতর্কে হ্যারিস জিতেছেন। আর ট্রাম্প তার বক্তব্যে স্থির থাকতে ব্যর্থ হয়েছেন।
দ্বিতীয় দফা বিতর্কে ট্রাম্পের অংশ নেওয়া উচিত হবে কিনা, সে ব্যাপারে ২ জন দাতা অনিশ্চয়তায় আছেন। একজন বলেছেন, এটি আসলে নির্ভর করবে ট্রাম্পের প্রস্তুতিতে সহায়তাকারীদের আত্মবিশ্বাসের ওপর। অন্য দুই দাতা আবার মনে করছেন, রিপাবলিকান শিবিরে উদ্যম ফিরে পেতে আরেক দফা বিতর্ক প্রয়োজন।