নিউইয়র্কে ট্রিপল-ই ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু

রাজ্যজুড়ে সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ
ডেস্ক রিপোর্ট
  ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪৪

নিউইয়র্কে মশা-বাহিত ইস্টার্ন ইকুইন এনসেফালাইটিস ভাইরাসে (ট্রিপল-ই) আক্রান্ত এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ফলে ভাইরাসটিকে রাজ্যের 'জনসাধারণের জন্য আসন্ন হুমকি' ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি রাজ্যের অধিবাসীদের জন্য বেশকিছু নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার  নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল এই ঘোষণা করেন৷  জানা যায়, পরীক্ষার পর নিউইয়র্কের এক বাসিন্দার ইস্টার্ন ইকুইন এনসেফালাইটিস ভাইরাস পজিটিভ ধরা পড়ে। পরবর্তীতে তিনদিনের মাথায় রোগীর মৃত্যু হয়। তিনি আলস্টার কাউন্টিতে থাকতেন। নিউইয়র্কে ২০১৫ সালের পর ট্রিপল-ই ভাইরাসের প্রথম মানবিক ঘটনা। রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের মতে, ইইই একটি বিরল, মারাত্মক ভাইরাল রোগ যা মশা দ্বারা ছড়ায়। এর আগে এই গ্রীষ্মের শুরুতে আলস্টার কাউন্টিতে একটি ঘোড়াও ভাইরাসের আক্রান্ত হয়েছিল। নিউইর্য়কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল বলেন, নিউইয়র্কবাসীদের নিরাপদ রাখা আমার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। ইইই-তে সনাক্ত হওয়ার খবর পেয়ে আমরা প্রশাসন থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছি। তিনি আরও বলেন, যে রোগীর ইইই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, আমরা তাঁর পরিবারের প্রতি আমাদের সহানুভূতি জানাই। ইস্টার্ন ইকুইন এনসেফালাইটিস এই বছর ভিন্ন রুপে দেখা যাচ্ছে। সাধারণত প্রতি বছর দুই থেকে তিনটি কাউন্টিতে এই মশা দেখা গেলে  পাই, এই বছর এখন পর্যন্ত ১৫ টি কাউন্টিতে দেখা গেছে। এটা নিউইয়র্ক স্টেট জুড়ে ছড়িয়ে আছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত  নিউজার্সিতে একটিসহ সারা দেশে কমপক্ষে ১০ জন রোগী সনাক্ত হয়েছে। নিউ হ্যাম্পশায়ারের একটি রোগীর অবস্থা মারাত্মক ছিল। স্বাস্থ্য কমিশনার ড. জেমস ম্যাকডোনাল্ড বলেন, জীবনের জন্য হুমকি মশা-বাহিত এই রোগের কোনও বাণিজ্যিকভাবে মানব ভ্যাকসিন নেই। আমি সমস্ত নিউইয়র্কবাসীকে পোকামাকড় নিরোধক ব্যবহার করে, দীর্ঘ-হাতা পোশাক পরতে অনুরোধ জানাচ্ছি। 
এছাড়া বাড়ির কাছে বদ্ধ পানি অপসারণের মাধ্যমে মশার কামড় প্রতিরোধ করার জন্য অনুরোধ করছি৷  তিনি আরও বলেন, যতক্ষণ না আমরা হিমাঙ্কের নিচের তাপমাত্রার একাধিক রাত দেখতে পাচ্ছি ততক্ষণ পর্যন্ত মশা থাকবে।" স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভাইরাসে সংক্রামিত বেশিরভাগ লোকের লক্ষণ দেখা দেয় না। তবে গুরুতর ক্ষেত্রে প্রাথমিক লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, উচ্চ জ্বর, ঠান্ডা লাগা এবং বমি হওয়া। এটি প্রায় ৩০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। তবে যারা বেঁচে থাকেন তারা স্নায়বিক বৈকল্যের শিকার হতে পারেন।
যেসব নির্দেশনা দিল কর্তৃপক্ষ:
সবসময় লম্বা হাতা জামা পরিধান করতে হবে। সন্ধ্যায় এবং ভোরবেলা যখন মশা সবচেয়ে সক্রিয় থাকে তখন প্যান্ট মোজা এবং শার্ট প্যান্টে ঢেকে বের হতে হবে। পোকামাকড় নিরোধক ব্যবহার করতে হবে। জানালা এবং দরজায় পর্দা ব্যবহার করতে হবে।  প্লাস্টিকের পাত্র, ওয়েডিং পুল, পাত্র, হুইলবারো সহ সপ্তাহে দু'বার পাখির জন্য রাখা পানি পরিবর্তন করতে হবে।