নিউইয়র্ক সিটির স্বাস্থ্য বিভাগ ও মেন্টাল হাইজিন বিভাগের কমিশনার আশ্বিন বাসান বছরের শেষ নাগাদ তার পদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন বলে জানা গেছে। ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার এক বিবৃতিতে বাসান ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানান। তিনি বলেন, "এই মহান সিটিতে আমার পরিবার গড়ে তোলার প্রায় ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা এবং নিউইয়র্ক সিটির স্বাস্থ্য কমিশনার হিসেবে ৮.৩ মিলিয়ন মানুষের চিকিৎসা সেবায় কাজ করতে পারাটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা সম্মান।" তিনি আরও বলেন, "পরিবার বা ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে কাজ করার সময়, আপনাকে কখনোই একা কাজ করতে হয় না। আমার স্ত্রী ও তিন সন্তান আমার দীর্ঘ অনুপস্থিতির বোঝা বহন করেছে, তাদের ভালবাসার প্রতি কৃতজ্ঞ হয়ে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, এখন তাদের পাশে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। এই সিদ্ধান্ত কঠিন হলেও, আমার ও আমার পরিবারের জন্য সঠিক বলে মনে হয়েছে।"
মেয়র এরিক অ্যাডামস জানিয়েছেন, বাসান আগামী বছরের শুরু পর্যন্ত কমিশনারের দায়িত্বে থাকবেন, এ সময়ে তার বিকল্প খুঁজে বের করা হবে। বাসান ২০২১ সালের ডিসেম্বরে এই পদে নিয়োগ পান, যখন তার পূর্বসূরি ডেভ চোকশি পদত্যাগ করেন।
মেয়র অ্যাডামস বলেন, "তার মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ হিসেবে অভিজ্ঞতা এবং জনস্বাস্থ্য পেশাদার হিসেবে প্রশিক্ষণ আমাদের শহরের জন্য অমূল্য ছিল, বিশেষত বিগত দুই বছর যাবত আমরা কোভিড-১৯, মাঙ্কপক্স এবং মানসিক স্বাস্থ্য সংকট মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি।" অ্যাডামস আরও বলেন, বাসান নিউইয়র্কবাসীর চিকিৎসা ঋণ লাঘব এবং কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্য সংকট নিরসনে নতুন ব্যবস্থার সূচনা করেছেন।
উপ-মেয়র অ্যান উইলিয়ামস-আইসোম বলেন, বাসান তার কর্মজীবনে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি রোডম্যাপ তৈরি করেন এবং পুরো শহরে ডৌলা কর্মসূচি চালু করেন। "তার আমলে আমরা আরও স্বাস্থ্যকর শহরে পরিণত হয়েছি এবং আমরা তার এবং তার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই," তিনি যোগ করেন।
বাসানের পদত্যাগ এমন এক সময়ে আসছে, যখন ফেডারেল তদন্তকারীরা নিউইয়র্ক সিটির বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে, যার মধ্যে রয়েছেন পাবলিক সেফটি বিভাগের উপ-মেয়র ফিলিপ ব্যাঙ্কস এবং প্রথম উপ-মেয়র শীনা রাইট। তবে সূত্র জানায়, বাসানের পদত্যাগের সঙ্গে সিটি হলের এই বিশৃঙ্খলার কোনো সম্পর্ক নেই।
এ বছর আগেও বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। চলতি মাসেই এনওয়াইপিডি কমিশনার এডওয়ার্ড ক্যাবান এবং প্রধান আইন উপদেষ্টা লিজা জর্নবার্গও তাদের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।