নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামসের বিরুদ্ধে ফেডারেল তদন্তের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার প্রশাসনের বিরুদ্ধে এই ধরনের তদন্ত, সিটির ইতিহাসে নজিরবিহীন। অ্যাডামস হচ্ছেন প্রথম মেয়র, যিনি এমন আইনি জটিলতার মুখোমুখি হচ্ছেন।
ফেডারেল তদন্তের অংশ হিসেবে অ্যাডামসের ঘনিষ্ঠ সহকর্মী ও নির্বাচনী দলের অন্যান্য সদস্যদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে পুরো তথ্য এখনো প্রকাশ করা না হলেও শিগগিরই আরও তথ্য জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মেয়র অ্যাডামস বারবার নির্দোষ দাবী এবং এই আইনি চাপকে ‘অযৌক্তিক অভিযোগ’’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি জানতাম যে নিউ ইয়র্কবাসীর জন্য কাজ করলে আমি লক্ষ্যবস্তুতে পরিনত হবো—এবং সেটাই হয়েছে।"
২০২৩ সালের নভেম্বরে এফবিআই বেশ কয়েকটি অভিযান চালায়, যেখানে নির্বাচনী তহবিল ব্যবহারে অনিয়ম এবং প্রভাব খাটানোর অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করে।এর ফলে অ্যাডামসের জনপ্রিয়তা কিছুটা কমে যায়, বিশেষ করে শহরের অপরাধ বৃদ্ধি ও অভিবাসন সমস্যা সমাধানের চ্যালেঞ্জগুলোতে।
আইন-শৃঙ্খলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০২১ সালে মেয়র নির্বাচিত হওয়া অ্যাডামস এখন একটি কঠিন আইনি পরিস্থিতির মুখোমুখি। এই অভিযোগের প্রভাব কেবল তার ব্যক্তিগত জীবনে নয়, তার প্রশাসনের কার্যক্রম এবং শহরের জনগণের আস্থার ওপরও পড়তে পারে।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য কমিশনার আশ্বিন বাসান, এনওয়াইপিডির কমিশনার অ্যাডওয়ার্ড ক্যাবান, প্রধান আইন উপদেষ্টা লিজা জর্নবার্গ ইতোমধ্যে পদত্যাগ করেছেন। এছাড়া ফেডারেল তদন্তকারীরা সিটির আরো বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে, যার মধ্যে রয়েছেন পাবলিক সেফটি বিভাগের উপ-মেয়র ফিলিপ ব্যাঙ্কস এবং উপ-মেয়র শীনা রাইট।