যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বয়ে যাওয়া শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘হেলেনে’র আঘাতে স্থানীয় সময় ২৯ সেপ্টেম্বর (রবিবার) পর্যন্ত ৯৩ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে দেশটির সরকারি কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে নর্থ ক্যারোলাইনাতেই মারা গেছে ৩৭ জন। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় হতাহতদের সন্ধানে এখনও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। খবর এএফপির।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দুই প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প হেলেনের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের ঘোষণা দিয়েছেন।
হেলেনের প্রভাবে প্রচণ্ড বাতাস আর বিরামহীন বৃষ্টিপাতের কারণে ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা, সাউথ ক্যারোলাইনা ও টেনেসি অঙ্গরাজ্যে অসংখ্য বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে যায়, রাস্তাঘাট বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় এবং লাখ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
গতকাল ২৯ সেপ্টেম্বর (রবিবার) যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থার প্রশাসক ডীন ক্রিসওয়েল বলেন, ‘আমরা পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনা অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পেয়েছি। এ ছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থা, রাস্তাঘাট, জরুরি পরিবহণ রুটগুলোসহ অনেক বাড়িঘর ধ্বংসের খবরও পাচ্ছি।’
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী চরম আবহাওয়ায় কমপক্ষে ৯৩ জন মারা গেছে। এর মধ্যে নর্থ ক্যারোলাইনায় ৩৭ জন, সাউথ ক্যারোলাইনায় ২৫ জন, জর্জিয়ায় ১৭ জন, ফ্লোরিডায় ১১ জন, টেনেসিতে দুইজন এবং ভার্জিনিয়ায় একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা গেছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে।
নর্থ ক্যারোলাইনার পশ্চিমাঞ্চলে এখনও বন্যার সতর্কতা জারি রয়েছে। সেখানে থাকা একটি বাঁধ ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানা গেছে।
আগামীকাল মঙ্গলবার নাগাদ পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া বিভাগের পরিচালক ক্যান গ্রাহাম। রোববারও প্রায় ২২ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দিন কাটিয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির একটি বিদ্যুৎ পর্যবেক্ষণ সংস্থা। এ ছাড়া আমেরিকান রেডক্রস পরিচালিত আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে হাজার হাজার লোক।