পরস্পরকে কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ নয়; বরং অনেকটা সুশীলভাবে নিজ দলের রাজনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে গঠনমূলক বিতর্ক করেছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী টিম ওয়ালজ ও রিপাবলিকান পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জে ডি ভ্যান্স।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে ওয়ালজ ও ভ্যান্সের এ বিতর্ক আয়োজন করে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিবিএস নেটওয়ার্ক। বিতর্কে মধ্যপ্রাচ্য সংকট, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন, কর, গর্ভপাত, জলবায়ু পরিবর্তন ও অর্থনীতি নিয়ে তাঁরা গঠনমূলক কথা বলেন।
এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক পার্টির কমলা হ্যারিস তীব্র কথার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। পরস্পরকে ‘কটু’ ভাষায় আক্রমণও করছেন। গত মাসে নিজেদের একমাত্র টেলিভিশন বিতর্কেও তাঁরা কুৎসিত ভাষায় পরস্পরকে আক্রমণ করেন। এমনকি এরই মধ্যে ট্রাম্পকে দুবার গুপ্তহত্যার চেষ্টার ঘটনাও ঘটেছে।
নির্বাচন নিয়ে জনমত জরিপগুলোয়ও উত্তেজনার রেশ পাওয়া যাচ্ছে। আভাস পাওয়া যাচ্ছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের। ফলে এবারের শেষ টেলিভিশন বিতর্কে ওয়ালজ ও ভ্যান্স একে অপরকে বাক্যবাণে জর্জরিত করবেন, এমনটাই ধারণা করা হচ্ছিল।
কিন্তু ওয়ালজ ও ভ্যান্স সে পথে হাঁটেননি। তাঁদের সবচেয়ে উত্তেজিত হয়ে বাক্য বিনিময় করতে দেখা গেছে বিতর্কের একেবারে শেষ পর্যায়ে। যখন ওয়ালজ বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) এখনো বলেন যে ২০২০ সালের নির্বাচনে হারেননি। তিনি কি ২০২০ সালের নির্বাচনে হেরেছিলেন?’ এ প্রশ্ন করেই ভ্যান্সের দিকে ঘুরে তাকান ওয়ালজ। এর আগে ওয়ালজ প্রশ্ন করেছিলেন, ‘যদি এবারও ট্রাম্প হেরে যান, তবে তিনি (ভ্যান্স) নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন কি না?’
ভ্যান্স দুবারই সতর্কতার সঙ্গে প্রশ্ন এড়িয়ে যান। তিনি বরং কমলা হ্যারিসের সমালোচনা শুরু করেন। তখন ওয়ালজ বলে ওঠেন, ‘ওটা প্রশ্নের উত্তর হলো না।’
এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক পার্টির কমলা হ্যারিস তীব্র কথার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। পরস্পরকে ‘কটু’ ভাষায় আক্রমণও করছেন। গত মাসে নিজেদের একমাত্র টেলিভিশন বিতর্কেও কুৎসিত ভাষায় পরস্পরকে আক্রমণ করেন তাঁরা। এমনকি এরই মধ্যে ট্রাম্পকে দুবার গুপ্তহত্যার চেষ্টার ঘটনাও ঘটেছে।
এদিন বিতর্কে ভ্যান্স বলেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করা কমলা হ্যারিস মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, অভিবাসন ও অর্থনীতি নিয়ে সংকট নিরসনে যথেষ্ট কাজ করেননি।
ভ্যান্স বলেন, ‘মধ্যবিত্ত শ্রেণির সংকট নিরসনে কমলা হ্যারিসের হাতে যদি এত দারুণ পরিকল্পনাই থাকে, তবে তাঁর উচিত এখনই সেটা করা...যখন পদোন্নতি হবে তখন করবেন, এমনটা না বলা। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ সাড়ে তিন বছর আগেই তাঁকে সেই দায়িত্ব দিয়েছেন।’
৬০ বছর বয়সী ওয়ালজ মিনেসোটার গভর্নর ও সাবেক স্কুলশিক্ষক। ওহাইওর সিনেটর ভ্যান্সের বয়স ৪০ বছর। তাঁর লেখা একটি বই সর্বাধিক বিক্রির তালিকায় উঠেছিল। নানা বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ভ্যান্স বেশ সমালোচিতও। বিশেষ করে বিদ্রূপ করে সন্তানহীন নারীদের তিনি ‘চাইল্ডলেস ক্যাটলেডি’ বলেছিলেন। কয়েক বছর আগে করা তাঁর এ মন্তব্য নিয়ে নতুন করে আবার সমালোচনা হচ্ছে।
আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে এরই মধ্যে আগাম ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।