ইরানে হামলা : বিপরীত অবস্থানে বাইডেন-ট্রাম্প

ডেস্ক রিপোর্ট
  ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:২০

ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে সংঘাতের ধার আরও তীব্র করেছে ইরান। বদলার আগুনে ফুঁসছে তেল আভিভ। কিন্তু এখনও প্রত্যাঘাত করেনি ইহুদি দেশটি। কীভাবে তারা ইরানে হামলা চালাবে তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। কখন, কতটা ভয়ংকরভাবে সেখানে আঘাত হানা হবে তার ‘নীল নকশা’ নিয়ে আলোচনা চলছে ইসরাইলের নীতি-নির্ধারকদের মধ্যে। তৈরি হয়েছে দ্বিমতও।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মতে, ইরানের তেলের খনিতে হামলা না চালিয়ে বিকল্প পথ খুঁজতে হবে। আবার সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চান, ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালানো উচিত ইসরাইলের।
মধ্যপ্রাচ্যের এই সংঘাতের জটিল সমীকরণে জড়িয়ে রয়েছে আমেরিকাও। ইরানের সঙ্গে যে তাদের খুব একটা ভালো সম্পর্ক নয় তা সকলের জানা। আর গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তেল আভিভের পাশে রয়েছে ওয়াশিংটন। ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চালানোর আগে ইসরাইলকে সতর্ক করেছিল মার্কিন প্রশাসন। দ্রুত পদক্ষেপ করে নাগরিকদের সতর্ক করে দেয় ইসরাইলি সরকার।
পরে তেহরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলে দিয়েছেন, “এই ভুলের বড় মূল্য চোকাতে হবে ইরানকে।” কোন পথে হবে প্রত্যাঘাত? জল্পনা চলছে, ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোকে নিশানা করতে পারে তেল আভিভ কিংবা হামলা হতে পারে তেলের খনিতে।
এএনআই সূত্রে খবর, ইসরাইলের পরিকল্পনা নিয়ে বাইডেন জানান, “প্রত্যাঘাত নিয়ে ইসরাইলিরা এখনও সুনির্দিষ্ট কোনও পরিকল্পনা করতে পারেননি। আমার মতে, ইরানের তেলের খনিতে হামলা না চালিয়ে বিকল্প পথ খোঁজা উচিত।”
অন্যদিকে ট্রাম্পের মতে, ইসরাইলের উচিত ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলা করা। তিনি জানান, বাইডেন নাকি জানিয়েছেন, ইরানের পরমাণু কেন্দ্রেও যেন বোমাবর্ষণ না করা হয়। এপ্রসঙ্গে ট্রাম্পের মত, মার্কিন প্রেসিডেন্টের মত একেবারেই ভুল। রিপাবলিকান নেতার কথায়, ‘উনি বলেছেন যেন ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলা না চালানো হয়। কিন্তু ওখানেই তো হামলা চালানোর দরকার।’