বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গোৎসবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল,ভুটান,শ্রীলঙ্কাসহ প্রবাসের দুই শতাধিক শিল্পী অংশ গ্রহন করেন। প্রতিদিন সকাল ১০ থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত দুর্গাদেবীর আরাধনা চলে। শনিবার বিকেলে নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে দুইদিনের এ উৎসব শুরুর দিন ঢল নামে প্রবাসী বাংলাদেশিদের। পুরো এলাকা নেচে উঠে ঢাকের শব্দ আর ধূপধুনোর গন্ধে। রোববার দর্শনার্থীদের উপস্থিতি আরো বেড়ে যায়। এতে নিরাপত্তা কর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হিমসিম খান। ফলে কিছু কিছু সময়ে উৎসব প্রাঙ্গণে প্রবেশের পথ বন্ধ রাখতে বাধ্য হন।
প্রতিমা স্থাপনের পরই কৌতূহলী আমেরিকানরা সেখানে ভিড় জমাতে থাকেন। বিভিন্ন ধর্ম আর জাতিগোষ্ঠীর পর্যটকরা দুর্গাদেবীর প্রতিমা দেখতে আসেন।
ওইদিন সকালে পূজা-অর্চনা শুরু হয়। কীর্তন আর অঞ্জলির মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয় আয়োজকদের উদ্যোগে। বিকেলে নৃত্যগীতে অংশ নেন শিল্পীরা। এ পর্বের সমন্বয় করেন আল্পনা গুহ।
শুভ রায় ও সোনিয়ার উপস্থাপনায় শিল্পী কৃষ্ণাতিথি ভক্তিমূলক গান শোনান। এসময় মাটি ব্যান্ড অংশ নেয় লিড গিটারিস্ট পার্থ গুপ্তের নেতৃত্বে। ছিল কবিতা আবৃত্তির ব্যবস্থাও।
উৎসব শুরুর এ কার্যক্রমে আরও উপস্থিত ছিলেন আয়োজক সংগঠকদের অন্যতম দিনেশ মজুমদার, শিতাংশু গুহ, নবেন্দু দত্ত, দীপক দাস, তাপস সাহা, আর পি দত্ত স্বপন, রনজিৎ সরকার ও পল্লব সরকার।
এ ব্যাপারে পূজা কমিটির সভাপতি সভাপতি শীতাংশু গুহ বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে বিশ্বের রাজধানী খ্যাত নিউইর্য়কের কেন্দ্রস্থল টাইমস স্কোয়ারের ৪৫ ও ৪৬ স্ট্রিটের ব্রডওয়েতে ‘দুর্গাপূজা ২০২৪’ নামে উদযাপিত হয়েছে। বিভিন্ন দেশের ধর্ম ও বর্ণের মানুষ এই পূজা উপভোগ করেছে।
পূজা কমিটির আহবায় দীনেশ চন্দ্র মজুমদার বলেন, বাঙ্গালীর দুর্গাপুজা ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। তারই ধারাবাহিকতায় প্রবাসী বাঙ্গালী হিন্দুদের ইতিহাসে এই প্রথম বাঙ্গালীর গৌরবের সব থেকে বড় উৎসব/ পুজা দুর্গাপুজা বিশ্ব আসরে তুলে ধরতে বিশ্বের রাজধানী খ্যাত নিউইয়র্কের প্রাণ টাইমস স্কয়ারে ‘দুর্গাপুজা ২০২৪’ নামে দুর্গাপুজা উদযাপিত হলো।
এই পূজা বিশ্বব্যাপী বাঙ্গালীর এই ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপুজা বৈশ্বিক পরিচিত লাভ করলো।
পূজা উপলক্ষে বিমল চন্দ্র সরকার সম্পাদিত একটি দৃষ্টি নন্দন ম্যাগাজিন প্রকাশ করা হবে। পূজায় ধর্মমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের সুধীজনদের সাদর আমন্ত্রণ জানিয়েছেন আহবায়ক দীনেশ মজুমদার।