ট্যাম্পা ও সেইন্ট পিটার্সবার্গে আঘাত হানতে যাচ্ছে হারিকেন মিল্টন

ডেস্ক রিপোর্ট
  ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২০:২৯
আপডেট  : ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৫:১৬

হারিকেন হেলিনের পর ফ্লোরিডা আরও একটি প্রাণঘাতী হারিকেন মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিছুটা দুর্বল হয়ে এলেও বিপজ্জনক হিসেবেই ট্যাম্পা ও সেইন্ট পিটার্সবার্গে সরাসরি আঘাত হানতে পারে হারিকেন মিল্টন। ফ্লোরিডার দিকে ধেয়ে আসার পথে হারিকেনটি গালফ অফ মেক্সিকোর দক্ষিণ অবস্থানকালে মাত্র ২৪ ঘণ্টায় শক্তি সঞ্চয় করে রোববার সকালে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় থেকে ক্যাটাগরি ফাইভ হারিকেইনে রূপ নেয়। তবে মঙ্গলবার ভোরে তা আবার ক্যাটাগরি ফোরে ফিরে আসে।
ন্যাশনাল হারিকেইন সেন্টারের পূর্বাভাস অনুযায়ী বুধবার রাতের দিকে ফ্লোরিডার পশ্চিম উপকূলে ক্যাটাগরি থ্রি হারিকেন হিসেবে আঘাত হানবে মিল্টন। এসময় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১১১ থেকে ১২৯ মাইল। ইতোমধ্যে ঝড়ের প্রভাবে স্টেইটের বিভিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।
মিল্টনের ফলে, উপকূলীয় এলাকায় বাতাসের গতিবেগ রেকর্ড পরিমাণ থাকতে পারে। এর পাশাপাশি প্রাণঘাতী জলোচ্ছাসে ফ্লোরিডার গালফ এলাকায় ধ্বংসযজ্ঞের আশংকা রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ফ্লোরিডার প্রায় পুরো পশ্চিম উপকূল জুড়ে হারিকেনের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদেরা পূর্বাভাস দিয়েছেন, ট্যাম্পা বে এলাকায় সরাসরি আঘাত হানতে পারে। ট্যাম্পা ১৯২১ সালের পর থেকে এমন ভয়ঙ্কর ঝড়ের মুখোমুখী হয়নি।ট্যাম্পার মেয়র জেইন ক্যাস্টরের মতে, মিল্টন শতাব্দীর অন্যতম ভয়ঙ্কর হারিকেন হতে যাচ্ছে।
গালফ কোস্ট জুড়ে ইভাকুয়েশন অর্ডার জারি করা হয়েছে। সেখানে ১২ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছাসের আশংকা রয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নির্দেশনা পাওয়ার পর কেউ নিরাপদ জায়গায় সরে না গেলে উদ্ধারকর্মীরা ঝড়ের মাঝে তাদের উদ্ধারে যাবেন না। ট্যাম্পার মেয়র বাসিন্দাদের সতর্কতা মেনে চলার আহ্বান জানান। ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। গভর্নর রন ডিস্যান্টিস বলেছেন, মিল্টন দুর্বল হলেও যথেষ্ট শক্তি নিয়েই আঘাত হানবে।
অনেকে ঝড়ের আগে নিরাপদ জায়গায় সরে যাচ্ছেন। ট্যাম্পা বের ইন্টারস্টেইট ও হাইওয়ে গুলোতে গাড়ির ভিড় দেখা গেছে। বিভিন্ন গ্যাস স্টেশন বন্ধ করতে দেখা যায় কর্মীদের। সেখানে আর গ্যাস নেই বলে জানান কর্মীরা। এতে করে বিপাকে পড়েছেন অনেকে। বাসিন্দাদের বন্যার পানি আটকানোর জন্য বালির বস্তা প্রস্তুত করতে দেখা যায়। অনেকে প্রয়োজনীয় খাবার, পানিও মজুত করছেন।