ফ্লোরিডার বাসিন্দারা হারিকেন মিল্টনের প্রস্তুতি হিসেবে জ্বালানি মজুদ করায় দ্রুতই স্টেইটটিতে জ্বালানি সংকট দেখা দিচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে প্রায় ১৩০০ গ্যাস স্টেশনের জ্বালানি ফুরিয়ে গেছে। হারিকেন মিল্টনের সতর্কতা হিসেবে বাসিন্দারা সরে যাওয়ার আগে জ্বালানি জোগাড় করার চেষ্টা করছেন। তাই বেড়েছে গ্যাসের চাহিদা। অন্যরা যারা নিজ বাসস্থানে থাকার পরিকল্পনা করছেন তারা ঝড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হলে যাতে জেনারেটরগুলো চালু রাখা যায় তাই গ্যাস স্টেশনে ছুটছেন।
গ্যাসের দামের ট্র্যাকিং সেবা দেয়া গ্যাসবাডির তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুর দুইটার মধ্যে স্টেইটের ১৭.৪ শতাংশ গ্যাস স্টেশনে জ্বালানি ফুরিয়ে যায়। যা স্টেইটের মোট ৭৫০০ গ্যাস স্টেশনের মধ্যে প্রায় ১৩০০ টি। ফ্লোরিডার বাধ্যতামূলকভাবে ফাঁকা করার আদেশ দেয়া অঞ্চলগুলোতে এই পরিস্থিতি আরও খারাপ ছিল। সোমবার রাত পর্যন্ত স্টেইটের গালফ কোস্টের ফোর্ট মায়ার্সের ৭০ শতাংশ স্টেশনে গ্যাস ছিল না।
গ্যাসবাডির জ্বালানি বিশ্লেষক প্যাট্রিক ডি হান বলেন, ‘ঝড়টি কত দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে এবং এর তীব্রতা কতটুকু তার প্রমাণ এটি।’ এদিকে ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস গ্যাসের মজুদ না করতে ও গাড়িতে অতিরিক্ত জ্বালানি না নিতে অনুরোধ করার পর ঘাটতি আরও বেড়ে যায়।
মঙ্গলবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিস্যান্টিস বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘যেসব স্টেশনে গ্যাস ফুরিয়ে গেছে সেখানে জরুরি গ্যাসোলিন সরবরাহ আনতে কাজ করছে স্টেইট।’
তবে মিল্টন চলে যাওয়ার পর আরও বাড়তে পারে সমস্যা। গ্যাসোলিনের বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঝড়টি কেটে গেলে হারিকেনের কারণে টাম্পা বন্দরের ক্ষতি হলে স্টেইটে পেট্রোল নিয়ে সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ ট্যাঙ্কার বা বার্জের মাধ্যমে স্টেইটে আসা বেশিরভাগ গ্যাসোলিনের জন্য এই বন্দরটি একটি মূল প্রবেশপথ।
ঝড়ের কারণে বন্দরটি বন্ধ হয়ে গেছে, যদিও ডিস্যান্টিস বলেছেন, বর্তমানে তার পেট্রল টার্মিনালগুলোতে জ্বালানী রয়েছে এবং ঝড়ের আগে তারা আরও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। লিপো অয়েল অ্যাসোসিয়েটসের তেল বিশ্লেষক অ্যান্ডি লিপো বলেন, ‘ঝড় কেটে গেলে ট্যাঙ্কার ও বার্জে সরবরাহ পুনরায় চালু হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে।’