জননিরাপত্তা বিষয়ক ডেপুটি মেয়র এবং মেয়র এরিক অ্যাডামসের ঘনিষ্ট বন্ধু ফিলিপ বি বাঙ্কস এবং আরো দু’জন অধস্তন সহকারী মেয়রের প্রশাসন ত্যাগ করেছেন। মেয়রের বিরুদ্ধে নির্বাচনকালীন ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের তদন্তকালে এফবিআই যাদের ফোন আটক করেছিল, তাদের মধ্যে ফিলিপও রয়েছেন।
গত সোমবার মেয়র অ্যাডামস তার ডেপুটি মেয়রের পদত্যাগ বিষয়ক ঘোষণা দেওয়ার পর আরো দুই জন অধস্তন কর্মকর্তাও মেয়রের প্রশাসন ত্যাগ করার কথা জানান। এই দুজনও মেয়রের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে ফেডারেল তদন্তকারীদের জেরা ও তল্লাশির মুখে পড়েছেন।
সোমবার ফিলিপ বাঙ্কসের পদত্যাগের আগে গতমাসে আরো ৫ জন পদস্থ কর্মকর্তা মেয়রের প্রশাসন ছেড়েছেন। তাদের প্রত্যেকে কোনো না কোনো পর্যায়ে মেয়র এরিক অ্যাডামসের দুর্নীতির বিষয়ে অবহিত ছিলেন বলে এফবিআইন নিশ্চিত হয়েছে।
পদত্যাগকারী দুই অধস্তন কর্মকর্তার একজন হচ্ছেন মেয়রের এশিয়ান অ্যাফেয়ার্স ডাইরেক্টর উইনি গ্রেকো, অপরজন মেয়োরাল এইড রানা আব্বাসোভা। গতমাসে রানা আব্বাসোভা ফেডারেল তদন্তে এফবিআইকে সহযোগিতা করায় মেয়র অ্যাডামসকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করা হয়। সিটি হলের এক মুখপাত্র রানা আব্বাসোভাকে কর্মচ্যুত করা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
কিন্তু একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান যে, রানা আব্বাসোভাকে চাকুরিচ্যুত করা কোনো প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ ছিল না। মেয়র তাকে ব্যক্তিগতভাবে চাকুরিচ্যুত করেননি, তার প্রশাসনের অন্য কেউ তা করেছেন। মিসেস আব্বাসোভা এর আগে ছয় মাসের অধিক সময় বিনা বেতনে ছুটি কাটিয়েছেছিলেন। তাকে বরখাস্ত করা ছুটি কাটানোর অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। তবে আব্বাসোভার আইনজীবী র্যাচেল মাইমিন এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। এফবিআই এজেন্টরা গত ফেব্রুয়ারি মাসে মিসেস গ্রেকো’র দুটি বাড়িতে তল্লাশি চালায় বলে তার আইনজীবী স্টিভেন ব্রিল নিউইয়র্ক টাইমসকে জানান। তিনি বলেন, তার মক্কেল স্বয়ং পদত্যাগ করেছেন।