মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২৪

অবৈধ অভিবাসীরা কৃষ্ণাঙ্গ ও লাতিন আমেরিকানদের জন্য ক্ষতিকর

ট্রাম্প
ডেস্ক রিপোর্ট
  ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ২৩:১০
আপডেট  : ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ২৩:১৬

নির্বাচনী প্রচারে যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। পেনসিলভানিয়ায় স্থানীয় সময় শনিবার রাতে এক সমাবেশে তিনি অবৈধ অভিবাসীদের কৃষ্ণাঙ্গ এবং লাতিন আমেরিকানদের জন্য ক্ষতিকর বলেছেন।
আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। শেষ সময়ের নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন ট্রাম্প।
সাউথ ডাকোটার রিপাবলিকান গভর্নর ক্রিস্টি নোয়েমের আয়োজনে পেনসিলভানিয়ার ওকসে একটি নির্বাচনী সমাবেশে যোগ দেন ট্রাম্প। ওকস টাউন হলে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দর্শকেরা সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নানা বিষয়ে প্রশ্ন করেন, তিনি উত্তর দেন।
সেখানে অভিবাসীদের নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘কৃষ্ণাঙ্গ পরিবার ও হিস্পানিক পরিবার এবং শেষ পর্যন্ত বলতে গেলে আমাদের সবার ওপর এখন যাঁরা আমাদের দেশে আসছেন, তাঁদের নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে।’
নির্বাচনে জয়ী হলে এর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছেন, সে বিষয়েও স্পষ্ট করে বলেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ‘আমরা ওই সীমান্ত শক্তভাবে বন্ধ করতে যাচ্ছি। এটা বন্ধ করা হবে।’
তবে ‘বৈধভাবে’ লোকজন যুক্তরাষ্ট্রে আসতে পারবেন বলে যোগ করেন ট্রাম্প।
নির্বাচনে জিততে কৃষ্ণাঙ্গ ও লাতিন আমেরিকা বংশোদ্ভূত ভোটারদের নিজের পক্ষে টানতে চাইছেন ট্রাম্প। তিনি গর্ব করে বলেন, এই দুই পক্ষের ভোটারদের মধ্যে ‘তাঁর পক্ষে সমর্থন অনেক বেড়েছে’।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে যত অনুপ্রবেশ ঘটছে সেটাকে তিনি ‘একটি আক্রমণ’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘এই উগ্র বাম পাগলেরা চায় সবাই দেশে আসুক এবং তাঁদের (অবৈধ অভিবাসীদের) মধ্যে অনেকেই অপরাধী।’
যেসব বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন, তার মধ্যে অবৈধ অভিবাসী অন্যতম। ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারেও তিনি অবৈধ অভিবাসীর বিষয়ে একই অবস্থানে ছিলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের কথা বলে আসছেন। প্রেসিডেন্ট থাকার সময় তিনি প্রাচীর নির্মাণসংক্রান্ত উদ্যোগও গ্রহণ করেছিলেন।
এ দিন অনুষ্ঠানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিসহ আরও নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন। অর্থনীতি প্রসঙ্গে ভোটাররা ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসের চাইতে ট্রাম্পের ওপর বেশি আস্থা রাখছেন। জনমত জরিপে সেই আভাস পাওয়া যাচ্ছে।