মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের সঙ্গে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী বিতর্ক হয় একবার। দ্বিতীয়বার তাদের মধ্যে বিতর্ক হওয়ার কথা থাকলেও শেষমেশ তা আর হয়ে উঠেনি। এর পরিবর্তে ফক্স নিউজে সাক্ষাৎকার দেন কমলা।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন ডানপন্থী সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজে কমলার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ব্রেট বেয়ার। সাক্ষাৎকারে অভিবাসন এবং লিঙ্গ রূপান্তরজনিত অস্ত্রোপচার প্রসঙ্গে কথা বলার সময় দুজনের মধ্যে তর্ক হয়েছে।
সিএনএন বলছে, সঞ্চালক ব্রেট বেয়ারের সঙ্গে কমলা হ্যারিসের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে। কথা বলার সময় একে অপরকে বাধা দিয়েছেন। সাক্ষাৎকারের শুরুতে কমলা বলেন, আমাকে শেষ করতে দিন, আমাকে তো কথা বলা শেষ করতে দিতে হবে।
আরেকবার হ্যারিস উত্তেজিত তর্ক-বিতর্কের মধ্যে বলেন, আমার মনে হয়, এই আলাপচারিতা যদি তথ্যের ভিত্তিতে হয়, তাহলে ভালো হয়।
সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বারবার ট্রাম্পকে আক্রমণ করতে চেয়েছেন। তিনি এটাও জানাতে চেয়েছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হয়ে কেমন করে দেশ চালাবেন। তিনি বলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে বাইডেনের সময়ের নীতির নিছক অনুসরণ করবেন না। আগের সব প্রেসিডেন্টের মতো তিনিও তার জীবনের অভিজ্ঞতা, ব্যক্তিগত অনুভবকে কাজে লাগাবেন। নতুন ধারণার রূপায়ণ করবেন।
ডিডাব্লিউর ওয়াশিটনের প্রতিনিধি জেনেলে দুমালাওন মনে করছেন, হ্যারিসের সাক্ষাৎকারের অনেকটা অংশ অভিবাসন নিয়ে প্রশ্ন-উত্তরের মধ্যে দিয়ে কেটেছে। ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর কাছে সবচেয়ে দুর্বল বিষয়টি নিয়ে ব্রেট বারবার প্রশ্ন করে তাকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করেছেন।
জেনেলে বলেছেন, হ্যারিস বারবার বলতে চেয়েছেন, ট্রাম্পের নীতির জন্যই বেআইনি অভিবাসন হচ্ছে। একটা সময়ে সাক্ষাৎকারটা অধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় পরিণত হয়েছে। ব্রেট বেয়ার নিজের কথাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন। হ্যারিস তার বিরুদ্ধে লড়ে গেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, হ্যারিস আসলে তার কথা বলতে চেয়েছেন এবং যারা আগে শোনেননি, তাদের কাছে পৌঁছাতে চেয়েছেন। যারা এখনো কাকে ভোট দেবেন ঠিক করতে পারেননি, তাদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন।