যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনেছে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারশিবির। ওয়াশিংটনে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা অভিযোগে একে ‘নগ্ন বিদেশি হস্তক্ষেপ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের পক্ষে প্রচার চালাতে কিছু ব্রিটিশ স্বেচ্ছাসেবক যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ায় এমন অভিযোগ আনে ট্রাম্পের প্রচারশিবির।
কমলা হ্যারিসের প্রচারশিবিরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের দলের সদস্যদের বেআইনি অবদান রাখার বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা অভিযোগে আহ্বান জানানো হয়েছে।
নির্বাচন সামনে রেখে যুক্তরাজ্যের স্বেচ্ছাসেবীদের যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। সাধারণত মধ্য-বামপন্থী লেবার পার্টির সদস্যরা ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর জন্য আর কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা রিপাবলিকান প্রার্থীর জন্য প্রচার চালিয়ে থাকেন।
গত জুলাইয়ে যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পায় লেবার পার্টি। নাম না প্রকাশ করার শর্তে একাধিক ব্রিটিশ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ডেমোক্র্যাট কৌশলবিদদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন লেবার পার্টির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা।
এদিকে আগামী ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জয় পেলে এ ধরনের অভিযোগের কারণে সম্পর্কে ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করেন না লেবার নেতা স্টারমার। তিনি বলেন, লেবার সমর্থকেরা নিজেদের উদ্যোগেই স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন।
যুক্তরাজ্যের ডানপন্থী রাজনীতিক নাইজেল ফারাজ ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে ট্রাম্পের। অবশ্য গত সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প টাওয়ারে এক বৈঠকে স্টারমারের প্রশংসা করেছিলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ নিয়ে এ ধরনের অভিযোগ নতুন নয়। এর আগে রাশিয়া, চীন ও ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ করেছিল দুই দলই। তবে এমন অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে মার্কিনবিরোধী এই তিন মিত্র।