অ্যামেরিকার নির্বাচন ঘিরে প্রতিনিয়ত হুমকির মুখোমুখি হচ্ছেন নির্বাচনি কর্মকর্তারা। ২০২০ সালের পর থেকে ডিসি সহ ১৭ টি স্টেইটে নির্বাচনি কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে ন্যাশনাল কনফারেন্স অফ স্টেইট লেজিসলেচারের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এই ধরনের হুমকি ও নিরাপত্তাহীনতা সবচেয়ে বেশি ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল ঘিরে সৃষ্ট অস্থিরতার হটস্পট জর্জিয়ায়। নির্বাচনে কর্মব্যস্ততার প্রস্তুতি বেশ ভালোভাবেই নিচ্ছে জর্জিয়া। ২০২০ সালের পর থেকে যেখানে অন্যান্য স্টেইটগুলো সেখানকার নির্বাচনি কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পদক্ষেপ নিয়েছে সেখানে এই সংক্রান্ত হুমকি ও নিরাপত্তাহীনতার হটস্পট জর্জিয়ার ক্ষেত্রে তেমন কোনো উদ্যোগই চোখে পড়েনি। বেসরকারি একটি সংস্থার জরিপ বলছে এই স্টেইটের ৩৮ শতাংশ নির্বাচনি কর্মকর্তাই হুমকি বা হয়রানির শিকার হয়েছেন।
জর্জিয়ার অনেক কাউন্টিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ইস্যুর কারণেও নির্বাচনি কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়ে তেমন কোনো অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। অনেকেই নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে এই কাজে যোগ দিতে চাচ্ছেন না। জর্জিয়ার বেশ কয়েকটি কাউন্টিতে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন এমন ব্যক্তিদেরকে ভীতিকর পরিস্থিতির ব্যাপারে পুলিশকে অবহিত করার জন্য ক্রেডিট কার্ডের সমান আকারের প্যানিক বাটন দেয়া হয়েছে। ২৪ টি কাউন্টিতে রাখা হয়েছে সাইলেন্ট অ্যালার্মের ব্যবস্থা।
নিরাপত্তাজনিত ঝামেলা এড়াতে রেকর্ড সংখ্যক ভোটাররাও আগাম ভোটে অংশ নিচ্ছেন। নির্বাচন ও একে ঘিরে হুমকি ও সমস্যার সূত্রপাত হয় ২০২০ সালে। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তখনকার সেক্রেটারি অফ স্টেইট ব্র্যাড র্যাফেনসবার্গারকে জর্জিয়ায় জো বাইডেনের পক্ষে যাওয়া নির্বাচনের ফল পাল্টে দিতে বলেন।
ওই ঘটনার পর ট্রাম্প ও আরও ১৮ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। বাইডেনকে নির্বাচনে জয়ের ক্ষেত্রে ভোটে কারচুপি করেছেন-ট্রাম্পের আইনজীবী রুডি জুলিয়ানির এমন মিথ্যা দাবির সাপেক্ষে তার বিপক্ষে করা ১৪৮ মিলিয়ন ডলারের মানহানির এক মামলায় জয় পান শে মস নামের এক নারী ও তার মা। ইতোমধ্যে কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়াই ট্রাম্প দাবি করছেন এবারও ডেমোক্র্যাটরা ভোটে কারচুপি করতে পারেন। একারণেই সব ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এড়াতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন জর্জিয়ার নির্বাচনি কর্মকর্তারা।