শুনানি চলাকালে আমুর আইনজীবীর ওপর হামলা

৬ দিনের রিমান্ডে আমির হোসেন আমু

ডেস্ক রিপোর্ট
  ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:৪১

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার মিছিলে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ইমরান আহম্মেদ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
এর আগে, বুধবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ।
তখন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক সমকালকে বলেন, আমির হোসেন আমুকে ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নামে বেশ কয়েকটি মামলা আছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে তোলা হবে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত বিপুল সম্পদের সন্ধান পায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতি করে তিনি এই অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছেন। দুদক তাঁর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শুনানি চলাকালে আমুর আইনজীবীর ওপর হামলা
রাজধানীর নিউমার্কেট থানার এক হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর রিমান্ড শুনানি চলছিল আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর)। এসময় বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের হামলার শিকার হন বলে অভিযোগ করেছেন আমুর আইনজীবী স্বপন রায় চৌধুরী। সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন রেজার আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
শুনানিতে রিমান্ডের পক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বক্তব্য দেন। তার বক্তব্যটি রাজনৈতিক বলে মন্তব্য করেন আসামি আমুর আইনজীবী। সঙ্গে সঙ্গে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা উত্তেজিত হয়ে যান। কয়েকজন মিলে স্বপন রায়ের কলার ধরে টানাটানি করে এজলাস কক্ষের দরজার সামনে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। এরপর এজলাসের ভেতরেই তাকে এলোপাতাড়ি লাথি মারেন। পরবর্তীতে কয়েকজন আইনজীবী তাকে তুলে আদালত থেকে বের করে দেন।
এ সময় কোর্ট নিষ্ক্রিয় ভূমিকা রাখেন দাবি করে স্বপন রায় বলেন, আদালতে বিচারক উপস্থিত থাকতে ১০ থেকে ২০ জন আইনজীবী আমার ওপরে হামলা করেছে। আদালতে পিপি সাহেব রাজনৈতিক কথা বলেছেন। সেজন্য আমি বলেছি, আপনি রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন। এরপর সরকার পক্ষের আইনজীবীরা আমার ওপর হামলা চালায়। আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়, লাথি মারে। আমাকে পিটাইতে পিটাইতে শোয়াইয়া ফেলে। আমি কোনও নিরাপত্তা পাইনি। কোর্ট নিরব ছিল। বাংলাদেশ একটা নিরাপত্তাহীন অবস্থায় আছে।
এ ব্যাপারে পিপি ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আদালতে আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপ শুনানি করতে দাঁড়ায়। তাদের পরস্পরের মধ্য কে বক্তব্য রাখবে এ নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে আদালতে এ অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।