গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রশ্নে বিন্দুমাত্র ছাড় দেবো না। প্রয়োজনে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে ঢাকায় মহাসমাবেশ করবো।’
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী লালদিঘী ময়দানে চট্টগ্রাম জেলা গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত গণসমাবেশে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসবে, আর আমরা আঙুল চুষবো? আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গণ-প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
এসময় তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের খসড়া আইনে সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগে বিচারের সুযোগ না রাখায় তীব্র প্রতিবাদ জানান।
ক্ষমতা ভাগাভাগির রাজনীতিতে ফ্যাসিবাদ পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘কিছু রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে স্থান দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে, যারা গণঅভ্যুত্থানের সময় নৃশংস গণহত্যা করেছে।’
‘ছাত্রদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ কি নির্বাচনে ক্ষমতায় আসবে, অথচ আমরা বসে আছি? আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’-তিনি যোগ করেন।
‘আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের পক্ষে যারা অবস্থান নেবে, তারাও ফ্যাসিবাদের দোসর। আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন ঠেকানোর জন্য আবার যদি দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিতে হয়, এ চট্টগ্রামের মাটি থেকেই যেন সেই প্রতিরোধের ডাক আসে।’- বলেন নুর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুর বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের নেতাদের আমরা ৫৩ বছর দেখেছি। কাজেই আমরা অন্তত আর দুই একবছর প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা দেখি কী করে।’
‘আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সারাবিশ্বে যে সম্পর্ক, দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতিকে দ্রুত তিনি টেনে তুলতে পারবেন। এরই মধ্যে ১৫টি সংস্কার কমিশন করে দিয়েছে।’- বলেন নুর।
তিনি বলেন, ‘সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না। এ ৫৩ বছর পর আমরা যে সুযোগ পেয়েছি, তা অবহেলা করে হারাতে চাই না। রাতারাতি নির্বাচন হলে দেশের পরিবর্তন হবে না।’
সরকারকে উদ্দেশ্য করে নুর বলেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেবো না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না। রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের (জিওপি) সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মঞ্জুর মোর্শেদ মামুন, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খালিদ হোসেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা প্রমুখ।