কুড়িগ্রামের উলিপুর থানা চত্বরে শুক্রবার রাতে বিএনপির দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হযেছে। এতে পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম (৩৮) নিহত হয়েছেন। এছাড়া বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আশরাফুল ইসলাম পৌরসভার দয়ালপাড়ার আয়নাল হকের ছেলে।
কুড়িগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মনজুর এ মুর্শেদ জানান, সংঘর্ষের পর একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
অপরদিকে বগুড়া শহরের নিশিন্দারা পশ্চিমপাড়ায় আবু সাঈদ (৩০) নামে এক বালু ব্যবসায়ীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দৃবুর্ত্তরা। শুক্রবার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালে সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এ কে এম মঈন উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তাসভীরুল ইসলাম এবং রংপুর বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। উভয় পক্ষের কয়েকজন নেতাকর্মীদের মধ্যে একটি অরাজনৈতিক বিষয় নিয়ে মীমাংসার চেষ্টা চলছিল। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। আশরাফুল থামানোর চেষ্টা করতে গেলে গুরুতর আহত হন। উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর উপজেলা শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান জানান, আমি ছুটিতে আছি। থানা চত্বরের কাছে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের তথ্য পেয়েছি। একজন মারা গেছেন। তবে তিনি মারধরের কারণে নাকি স্ট্রোক করে মারা গেছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বগুড়ায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
বগুড়া শহরের নিশিন্দারা পশ্চিমপাড়ায় আবু সাঈদ (৩০) নামে এক বালু ব্যবসায়ীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দৃবুর্ত্তরা। শুক্রবার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালে সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এ কে এম মঈন উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে হত্যার কারণ ও অপরাধীদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি বলে তিনি জানান। পুলিশ ও স্বজনরা জানান, আবু সাঈদ নিশিন্দারা পশ্চিমপাড়ার ইউসুফ আলীর ছেলে। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে বালু ব্যবসা করতেন। শুক্রবার রাত ১২টার দিকে কে বা কারা তাকে মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। আবু সাঈদ মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে বাড়ি থেকে বের হন বলে পরিবারে পক্ষে থেকে জানানো হয়। কিছু দূর যাওয়ার পর অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফেলে যায়।
স্থানীয়রা টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রতিবেশী আইজুর রহমান রিপন বলেন, আবু সাঈদ বালুর ঠিকাদার ছিলেন। দুর্বৃত্তরা তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এ কে এম মঈন উদ্দিন জানান, মোবাইল ফোনে ভিডিও দেখা নিয়ে প্রতিপক্ষের সঙ্গে আবু সাঈদের বিরোধ ছিল। এর জেরে হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে পারেন তিনি। হত্যার প্রকৃত কারণ ও জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে। মরদেহ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুরতহাল শেয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।