আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিন সংহতি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে সংহতি জানিয়ে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ কর্মসূচি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন। এরপর সেখান থেকে ফিলিস্তিনের বড় পতাকা নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন তারা।
এসময় ‘আরাকান থেকে ফিলিস্তিন- মুক্তি পাক মুক্তি পাক’, ‘আমরা কী চাই, তোমরা কী চাও— আজাদি আজাদি’, ‘হিন্দুত্ববাদ, মুজিববাদ— নিপাত যাক নিপাত যাক’, ‘টু জিরো টু ফোর— জায়ানিজম নো মোর’ সহ নানান স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
মিছিল শেষে সমাবেশ করেন তারা। সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, আমরা যখন জুলাইয়ে আন্দোলন শুরু করেছিলাম তখন ফিলিস্তিনের মানুষের আকুতি আমাদের স্পিরিট হিসেবে কাজ করেছে। তাই, আজকের এই দিনে আমরা ফিলিস্তিনের মুক্তি চাই।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিনে যেমন জায়নবাদ জেঁকে বসে নিরীহ মুসলমানদের তাদের ঘরবাড়ি ছাড়া করেছে, তাদের জীবনকে খেলার সামগ্রী বানিয়ে ফেলেছে। একইভাবে বাংলাদেশেও মুজিববাদ ও হিন্দুত্ববাদের আমদানি করে এ দেশের মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলমান রয়েছে। আমরা তা কখনোই হতে দেবো না।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
আন্তর্জাতিক প্যালেস্টাইন সংহতি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে সংহতি জানিয়ে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ কর্মসূচি পালন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুমার নামাজ শেষে দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে সংহতি মিছিল বের করেন তারা। মিছিল চৌরঙ্গী, মেডিকেল, এবং শহীদ সালাম-বরকত সংলগ্ন সড়ক ঘুরে বটতলা এলাকায় এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।
সমাবেশে বাংলা বিভাগের ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাইফুল্লাহ সাদ বলেন, বর্তমান বিশ্বের সাম্রাজ্যবাদ এবং ইহুদিবাদীরা ফিলিস্তিনকে একটি উন্মুক্ত কারাগারে রূপান্তরিত করেছে। সেখানে আমাদের মা-বোন, শিশু এবং বৃদ্ধদের নির্বিচারে হত্যা করছে। বোমা নিক্ষেপ করে তাদের শরীর থেকে রক্ত ঝরাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামীর পৃথিবী আর বসবাসের উপযোগী থাকবে না। আমরা ইসরায়েল এবং তাদের সহায়তাকারী সব সাম্রাজ্যবাদী শক্তির প্রতি তীব্র ঘৃণা ও নিন্দা জানাচ্ছি।
সংহতি সমাবেশে অংশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা শিবিরের সেক্রেটারি মুহিবুর রহমান বলেন, ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের এমন বর্বরতা পৃথিবীর মানবিকতাবোধকে শেষ সীমায় পৌঁছে দিয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে আজ পর্যন্ত তারা ৪৪ হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। পঙ্গু করে দিয়েছে লক্ষাধিক ফিলিস্তিনকে। এই বর্বরতার বিরুদ্ধে মুসলিম বিবেককে জেগে উঠার আহ্বান জানাই।