১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবসের ছুটি ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। সোমবার (২ ডিসেম্বর) অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনিক আর হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দিয়ে ১ ডিসেম্বর এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
এদিকে, গত ১৩ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ১৫ আগস্টের সাধারণ ছুটি বাতিল করা হয়। এ বিষয়ে ব্যারিস্টার অনিক আর হক বলেন, সেটি এ বছরের জন্য নির্বাহী সিদ্ধান্ত ছিল। আর আদালতে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা রায়কেন্দ্রিক বিচারিক বিষয়।
প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার দিনটি ১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবস এবং সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর। তবে ২০০২ সালে বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় শোক দিবস এবং সরকারি ছুটির সিদ্ধান্তটি বাতিল করা হয়। এর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত তিনজন আইনজীবী রিট করলে হাইকোর্ট বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। সে রায়ের ফলে এখন ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন এবং সরকারি ছুটির সিদ্ধান্ত বহাল হয়। তবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার পরিবর্তনের পর হাইকোর্টের ওই রায় স্থগিত চেয়ে আপিলের আবেদনের জানিয়েছিল রাষ্ট্রপক্ষ।
‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণার রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন
‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। সোমবার (২ ডিসেম্বর) অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনিক আর হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা চেয়ে ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. বশির আহমেদের করা রিটের শুনানি শেষে এই রায় দেন হাইকোর্ট।
পরে ২০২০ সালের ১০ মার্চ ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় শ্লোগান ঘোষণা করে রায় দেন বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। বাংলায় দেওয়া রায়ের আদেশের একটি অংশে আদালত বলেন, ‘আমরা ঘোষণা করছি যে জয় বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হবে।’