বাংলাদেশের কাছে ১৩৫ কোটি রুপি বকেয়া বিদ্যুৎ বিল চাইলো ত্রিপুরা

ডেস্ক রিপোর্ট
  ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২:৪৯

জরুরিভিত্তিতে বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুৎ বিল বাবদ পাওনা ১৩৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৯০ কোটি ৯২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা) চেয়েছে ত্রিপুরার রাজ্য সরকার। বকেয়া অর্থ চেয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে এরই মধ্যে চিঠিও দিয়েছে ত্রিপুরা রাজ্যের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ত্রিপুরা স্টেট ইলেকট্রিসিটি করপোরেশন (টিএসইসিএল)।
টিএসইসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেবাশীষ সরকার বলেন, পাওনা অর্থ চেয়ে আমরা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (বিপিডিবি) চিঠি দিয়েছি। এর আগে বিপিডিবির চেয়ারম্যানকে নিজে বকেয়া অর্থ পরিশোধের জন্য বলেছিলাম।
এ বিষয়ে ত্রিপুরার বিদ্যুৎমন্ত্রী রতন নাথ জানিয়েছেন, বাংলাদেশ নিয়মিত বিল পরিশোধ করলেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ এখনো বকেয়া। তিনি বলেন, প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য ছয় টাকা ৬৫ পয়সা করে ধার্য করা হয়েছে। তবে বকেয়া ১০০ কোটি টাকার সীমা অতিক্রম করার পর চলতি বছরের মে মাসে ত্রিপুরা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করেছিল।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিদ্যুৎ সরবরাহ ইস্যুতে ভারতের জাতীয় তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার করপোরেশনের সঙ্গে চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন সংস্থা এনটিপিসি বিদ্যুৎ ব্যাপার নিগম লিমিটেডের মাধ্যমে হয়েছিল এ চুক্তি।
চুক্তি অনুসারে বাংলাদেশে সরবরাহ করা প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য ৬ দশমিক ৬৫ রুপি করে পাবে ত্রিপুরার রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ারের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তি করেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। হাইকোর্ট সম্প্রতি সেই চুক্তির ব্যাপারে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
আদানির পাশাপাশি অন্য সংস্থার সঙ্গে হওয়া বিদ্যুৎ চুক্তিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধিরা অবশ্য বলেছেন যে, এখনই কোনো চুক্তি বাতিলের পথে হাঁটছেন না তারা।
এর আগে গত শনিবার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা রাজধানী আগরতলায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থগিত করার কথা বিবেচনা করছে তার রাজ্য।