প্রজাপতি সংরক্ষণ ও গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি’স্লোগানকে সামনে রেখে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শুরু হয়েছে দিনব্যাপী প্রজাপতি মেলা।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে বেলা ১১টায় মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান। প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কীটতত্ত্ব শাখা এ মেলার আয়োজন করে।
মেলায় প্রজাপতি সংরক্ষণে সার্বিক অবদানের জন্য বন ও প্রকৃতি বিষয়ক সংগঠন ‘প্লানটেশন ফর নেচারের’ প্রতিষ্ঠাতা সবুজ চাকমাকে বাটারফ্লাই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাব্বির আহমেদকে বাটারফ্লাই ইয়াং ইনথুসিয়াস্ট অ্যাওয়ার্ড অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে। আরও তিনজনকে দেওয়া হয় বাটারফ্লাই মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড।
উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি ১৪তম প্রজাপতি মেলা। আমি এই আয়োজনকে গুরুত্ব দেই দুই কারণে। প্রথমত, এই আয়োজনের মাধ্যমে প্রাণীর প্রতি নৈতিক বিবেচনা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, একটি অনন্য বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এই প্রজাপতি মেলা জাহাঙ্গীরনগরকে স্বীকৃতি এনে দিয়েছে। একটি প্রজাপতি যে গোটা মানবজাতিকে রক্ষার জন্য ভূমিকা রাখতে পারে সে শিক্ষাও আমরা এখান থেকে পাই। যারা এই প্রজাপতি মেলা শুরু করেছিলেন এবং যারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়।
প্রজাতির মেলা ২০২৪ এর আহ্বায়ক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন বলেন, প্রজাপতি সংরক্ষণ বিষয়ক সচেতনতা এবং প্রকৃতিতে প্রজাপতির গুরুত্ব সম্পর্কে জানানোর জন্য এ মেলার আয়োজন। প্রজাপতি প্রকৃতির গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। প্রজাপতি টিকে থাকলে প্রকৃতি সুন্দর থাকবে। ইকোসিস্টেম ও ফুড চেইনে প্রজাপতির যেই অবদান সেই সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি হলেই আমাদের আয়োজন স্বার্থক হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে দিনব্যাপী প্রজাপতি মেলা
মেলায় মায়ের সঙ্গে ঘুরতে আসা শিশু মাহনিয়া নুদ্রা জানায়, এর আগে অনেকবার মেলায় এসেছি। প্রজাপতি আমার খুব পছন্দ, এবারও প্রজাপতি দেখেছি, ধরেছি।
দিনব্যাপী এই মেলায় -জীবন্ত প্রজাপতি প্রদর্শন, প্রজাপতি বিষয়ক ছবি আঁকা ও কুইজ প্রতিযোগিতা, প্রজাপতি বিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা, প্রজাপতির হাট দর্শন, প্রজাপতির আদলে ঘুড়ি উড়ানো, বারোয়ারী বির্তক প্রতিযোগিতা, প্রজাপতি চেনা প্রতিযোগিতা এবং প্রজাপতি বিষয়ক ডকুমেন্টারি প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দিনব্যাপী প্রজাপতি মেলা।